
রিপন মিয়া, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা): জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ফুলছড়ির মতো দুর্দশা গ্রস্ত, শিক্ষাব্যবস্থা খারাপ, রাস্তাঘাট খারাপ, হাসপাতাল খারাপ এমন উপজেলা সারাদেশে একটিও দেখতে পাই নাই।
এর চেয়ে কষ্টের কথা আর থাকতে পারে না। সারাদেশের মধ্যে ফুলছড়ি উপজেলা বেশি বৈষম্য শিকার হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশে এই ফুলছড়িতে যারা বৈষম্য করবে না, তাদেরকে আপনারা নেতা নির্বাচিত করবেন। তিনি বলেন, যে নদীতে ফুলছড়ি উপজেলার অনেক মানুষের সহায় সম্বল ও ভিটেবাড়ি ভেসে যায়, সেই নদী ভাঙ্গন রোধে হাজার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ আসলেও কোন কাজ হয়নি, শুধু লুটপাট হয়েছে। নেতারা শুধু নিজেদের আখের গুছিয়েছে। সেই নেতাদের ফুলছড়ির আগামীর রাজনীতিতে আর দেখতে চাই না।
শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজনে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কালিরবাজারে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি ফুলছড়ি বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি আপনাদের সন্তানের উন্নতি চান, তাহলে তাদের পড়ালেখা নিশ্চিত করতে হবে। যে নেতারা আপনাদের সন্তানের পড়ালেখা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজেট নিশ্চিত না করে, তাদের ছেলেমেয়েদের ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া করায় তারা আপনাদের নেতা হতে পারে না। তিনি বলেন, ফুলছড়ি আর সাঘাটা মিলে একটি আসন অথচ যত উন্নয়ন সব একটি উপজেলাই হয়। বাংলাদেশের মধ্যে উত্তরাঞ্চল অবহেলিত। এ অঞ্চলের মধ্যে গাইবান্ধা আর গাইবান্ধার মধ্যে ফুলছড়ি অবহেলিত।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এডভোকেট আলী নাসের খান, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মাহমুদা মিতু, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ গালিব, সাদিয়া ফারজানা দিনা, কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলার মুখপাত্র জাহিদ হাসান জীবন, ফুলছড়ির ছাত্রনেতা আহসানুল হক স্বাধীন, আরিফ খান, সাদ্দাম হোসেন, আইয়ুব হোসেন প্রমুখ।