আবুল হাশেম, রাজশাহী: মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। মানুষের জীবন বাঁচাতে মানুষই পাশে দাঁড়ায়, সহায়তার হাত বাড়ায়। তাই এভাবেই যদি সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সবাই সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে বেঁচে যেতে পারে যুবক রায়হান ।
২৬ বছরের টকবগে তরুণক রায়হান হোসেন। সামনে তার আছে ভবিষ্যৎ। এই বয়সেই ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হয়েছেন মৃত্যু পথযাত্রী। তার শরীরে বাসা বেধেছে মরণঘাতী রোগ!
গত দুই মাস আগে রায়হান হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় ক্লিনিকের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাজশাহীর রয়েল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকাতে নিয়ে যায়, রাজশাহী এবং ঢাকার দুই হাসপাতালে চিকিৎসক জানান রায়হানের দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে, দ্রুত তাকে এই কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে রায়হানকে বাঁচানোর সম্ভব নয়।
রায়হান বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা আওরঙ্গবাদ গ্রামের ভ্যানচালক মিলনের ছেলে।
হায়হান পেশায় একজন নাপিত, তার নিজস্ব কোন জমিজমা নেই ।
তিনি জানান, আমি ছোট থেকেই নানা বাড়িতে থাকি এবং দিন এনে দিন খেয়ে জীবন যাপন করি , আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা ৪ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান আছে আমর কিছু হলে মেয়েটা এতিম হয়ে যাবে, তার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
বর্তমানে আমার শরীরে বাসা বেধেছে জটিল রোগ, দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে, ডাক্তার জানিয়েছেন দ্রূত দুটি কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। যার খরচ হবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। যা আমার ও পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।
তাই আমার অনুরোধ আপনারা আমাকে বাঁচার সুযোগ দিন। সমাজে যারা বিত্তবান এবং হৃদয়বান ব্যক্তি আছেন তারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন হয়তো বা আমি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবো।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে গত দুই মাসে তার চিকিৎসা বাবদ যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে তার শরীরে অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সে কিছু খেতে পারছে না, খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই বমি হয়ে উঠে যাচ্ছে। সাথে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমেছে, দুই পা অসম্ভব ফুলে উঠেছে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন সমস্যা বেড়েই চলেছে।
রায়হানের প্রতিবেশী মো. আব্দুল আলিম জানান, রায়হান একটি অসহায় ও ভালো ছেলে তার কোনো নিজেস্ব জমা জমি বা আয় রোজগার ব্যবস্থা নাই। অন্য মানুষের দান করা জাইগাই একটি সেলুন ঘর করে সেখানে চুল কেটে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু বর্তমানে তার শরীরে বাসা বেধেছে মরণব্যাধি গত দুই মাস আগে রায়হান হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তার দুটি কি দিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান এবং কিডনি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবর্তন না করলে তার মৃত্যু অনিবার্য । আমরা সাহায্য সহযোগিতা করে বর্তমানে তার চিকিৎসা চালাচ্ছি কিন্তু তার কিডনি পরিবর্তন করতে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন তাই সমাজে বিত্তবানসহ সকল মানুষ যদি তাকে সহযোগিতা করে হয়তো সে পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে পারবে।
তার পিতা বলেন, একমাত্র সন্তানের চিকিৎসায় ইতিমধ্যে তার প্রচুর টাকা খরচ হয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা রায়হানের কিডনির প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। এ জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার দরকার। কিন্তু তারা আর চিকিৎসার খরচ কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। রায়হানের চিকিৎসার খরচ বর্তমানে মানুষের সহযোগিতায় চলছে। আমি একজন সামান্য ভ্যানচালক অসহায় পিতা।
এমন পরিস্থিতিতে পিতা মো. মিলন হোসেন বিত্তবানসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সন্তানের চিকিৎসা জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
রায়হাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সবাই সাহায্য পাঠাতে পারেন। রায়হানের নম্বর 01305 192890।