শনিবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

যায়যায় কাল ডেস্ক: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার  ওয়াশিংটন ডিসিতে ওই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা ধরনের ইস্যু নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়।

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে এক সাংবাদিক বলেন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসও দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে ইসলামপন্থি চরমপন্থার উত্থানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদের সময় বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া নাৎসি প্রতীক ব্যবহারের মতো বিষয় এবং মার্কিন ব্র্যান্ড কোকাকোলা এবং কেএফসির বিরুদ্ধে ইহুদি-বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এই বিষয়গুলোকে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এর জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।

ব্রিটিশ এমপি ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর বিষয়টিও উঠে আসে ব্রিফিংয়ে। মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই এসব বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন সেগুলো বাংলাদেশের প্রশাসনের বিষয়। অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। আপনি যা বর্ণনা করছেন, তাদেরও সেগুলোর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ এবং মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে- তারা কী বিকল্প বেছে নেবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *