আবুল হাশেম, স্টাফ রিপোর্টার: ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের লগি-বৈঠার তাণ্ডবের প্রতিবাদে রাজশাহীর বাঘায় জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাঘা শাহী মসজিদের দক্ষিণ পাশের মাঠ প্রাঙ্গণে একটি বিশাল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জামায়াতের বাঘা উপজেলা শাখা।
উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে জামায়াতের বাঘা শাখার আমির মো. আব্দুল্লাহ্ আল- মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগর শাখার সেক্রেটারি মো. ইমাজ উদ্দিন মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের রাজশাহী জেলা পূর্ব শাখার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. নাজমুল হক।
আলোচনা সভা অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা পূর্ব জামায়াতের সাংগঠনিক মো. গোলাম মুর্তজা, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের যুব বিভাগের পরিচালক ও রাজশাহী মহানগরী সুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য মো. জসীম উদ্দীন সরকার , বাঘা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা জিন্নাত আলী, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো: ইউনুছ আলী, পৌর জামায়াতের আমির মো. অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, পৌর সেক্রেটারি সাবদার আলী প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য সাহাদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন বাঘা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, বাউসা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মজিবর রহমান, আড়ানী পৌর আমীর মনিরুল ইসলাম, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাহবুব আলী,বাঘা উপজেলা শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,উত্তর শাখা সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সাবেক রাজশাহী জেলা পূর্ব ছাত্রশিবির সভাপতি সবুজ মাহমুদ, সাবেক বাঘা উপজেলা শিবির সভাপতি আইয়ুব আলী, রায়হানুল হক, আ: মমিন, মাহাবুল ইসলামসহ বিভিন্ন শাখা ও অঙ্গ সংগঠনের আনুমানিক তিন হাজার নেতাকর্মীরা এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এযাবৎ কালের ইতিহাসে সংগঠিত অপরাধের নিকৃষ্টতম একটি দিন। এই দিনে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে বাংলাদেশ জামায়াতের পূর্বঘোষিত সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন যুবলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এইদিন লগি বৈঠার তাণ্ডবে দেশ, রাজনীতি, সমাজ তার পথ হারিয়েছিল। মানবতার মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাদের হত্যা, খুন, গুম করা হয়েছে প্রত্যেকটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। এছাড়া এসকল হত্যা, খুন, গুমের হুকুমদাতা হিসেবে পালাতক স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্ছ শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
এদিকে দুপুর থেকেই মিছিল নিয়ে বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা সমাবেস্থলে এসে যোগ দেন। সমাবেশ শুরুর আগেই ঐতিহাসিক তেঁতুলতলার মাজার ও আশপশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।