
আরাফাত খাঁন, বান্দরবান: বান্দরবান জেলা বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সাত উপজেলা, তেত্রিশ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা থেকে বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয় স্থানীয় রাজারমাঠে, সেখান থেকে বিশাল র্যালি বেরিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে যুক্ত হয় জনসমাবেশস্থলে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় বান্দরবান ট্রাফিক মোড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনের মাধ্যমে আমাদের প্রথম ধাপের বিজয় হয়েছে। তবে পরিপূর্ণ বিজয় না আসা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে নিতে আহব্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, রাষ্ট্রের জন্য কি ভালো কি মন্দ সেটি রাজনীতিবিদরাই জানেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকাকে সময়ক্ষেপণ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য ইতিহাস নয়, ক্ষমতাসীন সকলের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়। দেশের ক্লান্তিলগ্নে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতেন শহীদ জিয়াউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি বাঙালির ভাই-ভাই সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠাও করেছিলেন তিনি।
বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: জাবেদ রেজা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক লুসাই মং, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা সাহাদাত হোসেন জনি, রিটল বিশ্বাস, সেলিম রেজা, জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।