শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

, এর সর্বশেষ সংবাদ

বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি

যায়যায়কাল প্রতিবেদক : জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বর্তমান ও সাবেক খতিবের অনুসারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বর্তমান ও সাবেক খতিবের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।

নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সেটাকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন খতিব মুফতি রুহুল আমীন। তিনি জানান, তিনি এখনো বায়তুল মোকাররমের খতিব। সরকার তার নিয়োগ বাতিল করেনি। অসুস্থতার কারণে কয়েক সপ্তাহ আসতে পারেননি। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত ছুটিও নিয়েছেন। আজ ছুটি শেষ হওয়ায় তিনি নামাজ পড়াতে এসেছিলেন।

মুফতি রুহুল আমীন জানান, গত ১৯ জুলাই থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ অবগত। এমনকি তিনি লিখিতভাবে ছুটিও নিয়েছেন। তার ছুটি শেষ হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর। এমতাবস্থায় নিয়ম অনুযায়ী জুমার নামাজ পড়ানোর জন্য তিনি শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মসজিদে যান।

তিনি জানান, মসজিদে যাওয়ার পর মসুল্লি কমিটির পরিচয়ে তিন ব্যক্তি তাকে বলেন, নামাজ না পড়ানোর জন্য। কিন্তু তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাকে নামাজ না পড়াতে বললে চলে যাব। এরপর মুফতি রুহুল আমীন নামাজের জন্য বয়ান শুরু করেন এবং প্রায় ২০ মিনিট বয়ানও করেন। এ সময় মসজিদের বাহির থেকে কিছু লোক এসে হট্টগোল শুরু করে এবং মসজিদে ভাঙচুর চালায়। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি নামাজ না পড়িয়ে চলে আসেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খতিবের নামাজ পড়ানো না পড়ানোর বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না থাকায় এই বিশৃঙ্খলা হয়েছে বলে মনে করছেন মুফতি রুহুল আমিনের সমর্থকেরা।

এর আগে খতিব মুফতি রুহুল আমীন জুমার নামাজ পড়াতে এলে মুসল্লিদের একাংশের বিরোধিতার মুখে পড়েন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একে অপরের ওপর জুতা এবং জুতার বাক্স ছুড়ে মারেন। এতে অর্ধশত মুসল্লি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

মুফতি রুহুল আমীনকে ২০২২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার খতিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য বিরোধীরা তাকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যায়িত করে তার অপসারণ দাবি করেন। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খতিবের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররমের খতিবের পদটি একটি সম্মানজনক পদ। রেওয়াজ অনুযায়ী, এই পদ থেকে সাধারণত অপসারণ করা হয় না। এর আগে যারা খতিব ছিলেন কারও জীবদ্দশায় খতিব নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে নিয়োগ দিতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জুমার নামাজের আগে থেকেই সাবেক ও বর্তমান খতিবের অনুসারীরা বায়তুল মোকাররমের ভেতরে জড়ো হতে থাকেন। জুমার খুতবা পড়ানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন আত্মগোপনে চলে যান। পরে খতিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় ওয়ালিউর রহমান খানকে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ