বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র বন্ধে সোচ্চার থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে রেল প্রায় উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার আসার পর সারাদেশে রেল সচল হয়েছে। আগে আমরা পড়তাম রেলপথ নেই কোন জেলায়। এটি আর এখন হবে না। সব জেলায় রেলপথ আছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বিজয়নগর আমার স্বপ্নের উপজেলা। এই উপজেলার মানুষ আমার ভালোবাসার মানুষ। আপনারা অপশক্তির বিরুদ্ধে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নৌকাকে বিজয়ী করতে অনেক কষ্ট করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যেমন অন্তর দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ঋণ শোধ করে গেছেন, আমরা এখনো তার ঋণ শোধ করতে পারি নাই। তেমনিভাবে রক্ত দিয়ে হলেও আপনারা আমাকে এই পর্যায়ে আনতে যা করেছেন তার ঋণ আমি কোনো দিন শোধ করতে পারবো না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন সেই সুযোগের শতভাগ আমি ব্যবহার করব। আপনাদের কাছে আমি দোয়া চাই, আল্লাহ আমাকে যে সুযোগ দিয়েছেন সেই দায়িত্বটা সততার সঙ্গে করতে চাই এবং বিজয়নগরকে নিজের মতো সাজাতে চাই। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আমি বিজয়নগর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করব। উপজেলায় একটি টিটিসি অর্থাৎ কারিগরি ট্রেনিং সেন্টার করা হবে। এটি হওয়ার পর ট্রেনিংয়ের জন্য উপজেলার মানুষকে আর কোনো জায়গায় যেতে হবে না। এখানে একটি কারিগরি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। শুধু আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসা থাকলে কোনো কাজ অপূর্ণ থাকবে না। আমি মনের মতো এই উপজেলা করে দেব।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভিপি জহিরুল ইসলাম সোহেলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাউশির সাবেক ডিজি অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি হালিমা খাতুন প্রমুখ।