কাজী আল আমিন, বিজয়নগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুর গ্রামের রামধন দেবনাথ এর ছেলে অমর দেবনাথ (৫০)। অন্ধ হয়েও কর্ম করে খাচ্ছেন। দা কাঁচি বিক্রি করেন তিনি।
জানা যায়, অমর দেবনাথ একজন জন্ম থেকেই অন্ধ। তার এক স্ত্রী, দুই কন্যা ও একজন ছেলে রয়েছে। বিগত ৫/৬ বছর যাবৎ স্ত্রী ফুলমতি দেবনাথ মানসিক রোগে ভুগছেন। স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারছেন না। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, অমর দেবনাথ কোনো ধরনের সহায়তা পাচ্ছেন না। কারো কাছে হাতও পাতেন না। আমতলী বাজারে রাস্তার উপরে উপার্জনের আশায় কাঁচি দা বিক্রি করে নিজে ও পরিবারকে বাঁচানোর অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার এই অসহায়ত্বের দেখে চোখে পানি ধরে রাখা যায় না। ফুটফুটে ছোট ছেলেটার বয়স ৫ বছর। এই সময়টা থাকার কথা স্কুলে সেই সময়ে জীবিকার তাগিদে নিজের বাবাকে পথ দেখিয়ে নিতে হচ্ছে বাজারে।
জানা যায়, কোনদিন ১৫০ কোনদিন ২০০ টাকা উপার্জন করে থাকেন তিনি। কোনদিন উপার্জনের ৪০ টাকাই ব্যয় করতে হয় ফুটফুটে বাচ্চার চাহনিতে। এমন অসহায়ত্বে নির্দয় কাস্টমাররা অন্ধত্বের সুযোগে চুরি করে নিয়ে যায় ব্যবসার জিনিসিপত্র।
প্রতিবন্ধী অমর দেবনাথ যায়যায়কালকে বলেন, আমি একজন গরিব অসহায় প্রতিবন্ধী। এক বেলা খেলে দু’বেলা খেতে পাই না। স্ত্রীও পাগল। কয়েকটা দা কাঁচি খরিদ করে আমতলী বাজারে বিক্রি করে কিছু টাকা লাভ হয়। সেই লাভের টাকা দিয়ে আমার সংসার চলে না। আমি বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি।