কাজী আল আমিন, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের দুর্নীতিসহ অবৈধ সম্পদের নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন।
গত বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনে বরাবর লিখিত আবেদন করেন, উপজেলার ভিটি দাউদপুর গ্রামের এডভোকেট মোঃ ইয়ার হোসেন।
প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ অভিযোগে উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন আওয়ামী শাসনামলে নিজের চেয়ার ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উন্নয়নমূলক সরকারি একই কাজ বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে বিল পাস করে অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে মাতৃকালীন, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা নিজে কৌশলে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এলাকায় নিজের দাপট খাটিয়ে অবৈধভাবে লৌহর নদী হইতে বালু উত্তোলন করে কৃষি জমি বিনষ্ট করে রমজমা ব্যবসা করছেন।
মাদক ও চোরাকারবারির ব্যবসা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাউতলী এলাকায় ৭০ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেন। তাছাড়া বাড়িতে প্রায় ৭০ লাখ টাকায় অত্যাধুনিক বাসস্থান তৈরি করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুহিলপুর মৌজায় ভগ্নিপতির নামে কোটি টাকা ব্যয়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তি করেছেন। তাছাড়া সোনালী ও ইসলামী ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাখায় কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বড় ভাই দুলাল খন্দকার ও তাহার চাচাতো ভাই টিটু খন্দকার মাদক চোরাকারবারির গডফাদার হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত। গত ২৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা চোরাচালানের দায়ে বিজয়নগর থানায় মামলা হয়েছে। তার ক্ষমতায় প্রকাশ্যে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, স্কোপ সেবনসহ মানবপাচার করতেন। এসব দুর্নীতির সুষ্ঠ তদন্ত ও অবৈধ মারফতে সম্পদ অর্জনের আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান।