
কাজী আল আমিন, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন প্রবাসী সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রবাসীদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সাতবর্গ বাজারে বুধন্তী ইউনিয়ন প্রবাসী সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এবং সংগঠনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম (মোছন)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী নিয়াজ উদ্দিন।
সংগঠনটি ২০২০ সালে একশ’ প্রবাসী নিয়ে মানবিক কাজে সহযোগিতার জন্য যাত্রা শুরু করেন, বর্তমানে ২৫০ জনের উপরে সদস্য দাঁড়িয়েছে। সংগঠনটি বুধন্তী ইউনিয়নে ১৬টি গ্রামের প্রবাসীদের নিয়ে সংঘটিত। সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে নিরীহ ও অসহায় গরিব মানুষদের চিকিৎসা অসহায় পরিবারদের বিবাহ খরচ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সহ সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্নভাবে সাহায্যে সহযোগিতা করা।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন কাজী নিয়াজ উদ্দিন, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন সরকার ও আক্তার হোসেন, সাইফুল ইসলাম এবং আশিক মিয়াসহ ১৬টি গ্রামের মোট ৩০ জনকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১০ জন প্রবাসী এবং ২০ জন গ্রামীণ সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী নিয়াজ উদ্দিন এবং অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আল আইয়ুবী খান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ নাজমুল হক, এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান হেলাল, কামাল মিয়া মাস্টার,মিজানুর রহমান,মোঃ ইউনুস হোসেন, মোঃ মঙ্গল মিয়া, মোঃ আবু মিয়া, মোঃ শাহেদ মিয়া, সংগঠনের অর্থ সহ-সম্পাদক কামরুল চৌধুরী, সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, লিয়াকত আলী, মো. মিজানুর রহমান, মো. ইসমত আলী, মো. মোহাম্মদ আলী, মো. সাঈদ মিয়া, মো. শিরো সরকার, মো. সাদেক মিয়া, মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং আব্দুল মতিন সহ অনেকেই।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মোছন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সংগঠনকে বিতর্কিত ও অগ্রগতির বাধা সৃষ্টি জন্য গত ১০ জুন নিয়মবহির্ভূত সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের পথরোধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা কোনভাবেই সম্ভব নয়। আমরা কোন রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত নই, এমনকি তাদের অভিযোগ লাশ ফেরত আনার ক্ষেত্রে আমাদের কোন সহযোগিতা আছে বলে আমি কোথাও বলিনি বরং যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারাই পথভ্রষ্ট ও বিতর্কিত। আওয়ামী শাসনামলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তারা উপস্থিত হতে পারেনি। আমি তাহার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই। পরিশেষে দোয়া ও তাবারক বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।