
কাজী আলআমিন, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাসহ ৭৪ জন স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় অভিযোগ বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দাখিল করেন।
নয় পৃষ্ঠার অভিযোগে উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৩ বছর দলীয় ও স্থানীয় দাপটে নিয়ম বহির্ভূতভাবে একই স্থানে ও পদে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে জড়িয়ে নিজেকে প্রভাবশালীতে পরিচিত হন। নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ ও দুর্নীতি, ভুয়া সনদ, বেআইনিভাবে কোচিং বাণিজ্য, ভুয়া ভাউচার বানিয়ে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করেন। দলীয় প্রভাবে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে বহাল ও প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় এর হিসাব গোপন রেখে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছেন। পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা নিজে আত্মসাৎ করেন। দেশের আইন ভঙ্গ করে অ্যাসেম্বলি, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন দিবস পালনে বিরত থাকতেন। বই কোম্পানির সাথে চুক্তির গাইড বই নিজ প্রতিষ্ঠানে চালাতেন। প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্র টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই কেনাবেচা করেন। চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাসে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা প্রথম অভিযোগের প্রতিকারে ১২ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার পদত্যাগূর্বক দায়িত্বভার হস্তান্তরের জন্য নির্দেশ প্রদান করলেও আজ পর্যন্ত কর্ণপাত করেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অব্যাহত। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।