
কাজী আল আমিন, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় ভূমি নকশা প্রকাশের ২৮ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত পরিপূর্ণতা পেলনা এবং বাংলাদেশ জরিপের উপজেলার পাঁচটি মৌজা অনলাইনে না থাকায় ভোগান্তিতে জমির মালিকসহ ক্রেতা বিক্রেতারা।
জানা যায়, ১৯৮৬-৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বাংলাদেশ জরিপ প্রস্তুত ও প্রকাশ পেলেও উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের বিএস নকশার পূর্ণতা না থাকায় ভূমির দাগ নম্বর সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সে ক্ষেত্রে মালিক ও সম্পৃক্ত দলিল লেখকরা বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
সাতগাঁও মৌজার নকশার ২নং শিটের শেষ দাগ নম্বর ১৬২২ যদিও ৩নং শিটে শুরু হয়েছে ২০০১ নং দাগ দিয়ে। যদিও শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৬২৩ নং দাগ দিয়ে। মধ্যস্থলে ১৬২৩ থেকে ২০০০ নং দাগের মোট ৩৭৭টি দাগের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্যায় ক্রেতা বিক্রেতারা এই ঝামেলার জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে অতিরিক্ত সময়, তারপরেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
এছাড়াও বাংলাদেশের জমি সংক্রান্ত প্রায় সকল জেলার ডকুমেন্ট অনলাইন ও কম্পিউটারাইজড করা থাকলেও বিজয়নগর উপজেলার বেকিনগর, বড় রসুলপুর, আব্দুল্লাহপুর, ছোটকালিসীমা, হোসেনপুর মৌজার বাংলাদেশ জরিপের অনলাইন না থাকায় ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে সম্পৃক্ত সকলের। এসব অসহায় জনসাধারণের ভোগান্তিতে কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। সম্পৃক্ত সকলেই চেয়ার ধরে রাখায় ব্যস্ত।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জনসাধারণ জানান, নকশার সমস্যা ও বাংলাদেশ জরিপ কপি অনলাইন না থাকায় অতিরিক্ত ব্যয় ও সময়সহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে আছি। তাই সারা দেশে যেহেতু সরকার অনলাইন ব্যবস্থা করেছে, আমাদের ভূমি নকশা সঠিক ও বিএস কপি অনলাইন করে দিলে আমাদের ভোগান্তি থাকবে না। আমরা দাবি জানাই সংশ্লিষ্টদের আমাদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য।
এ বিষয়ে সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জোনাল রেকর্ডরুম ও সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (কুমিল্লা) শাখাওয়াত হোসেন জানান, আমাদের অফিসে এমন কোন আবেদন আসেনি, যদি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এমন অভিযোগ আসে, তাহলে জরিপের অনুমোদনের জন্য আমাদের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। যেসব এলাকার বি এস অনলাইন হয় নাই তারও একই নিয়মে আগাতে হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাহমুদা আক্তার জানান, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি বিষয়টা অবগত নই। তবে উপজেলা এসিল্যান্ড অফিসে খোঁজ নিতে পারেন।












