
কাজী আল আমীন, বিজয়নগর : আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিজয়নগর উপজেলা প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ দেখে মনে হয়েছিল নির্বাচনে কারো ইশারায় চলবে না। তেমনি প্রতিফলন ঘটেছে গত ৫ জুনের নির্বাচনে।
বিশেষ করে বিজয়নগর উপজেলার মোট ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজের মতো করে ভোটারদের নৈকট্য লাভের আশা করলেও ভোটাররা বিবেক দিয়ে পুরাতনকে পেছনে ফেলে নতুনকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
যদিও ভোটারদের উপস্থিতি পর্যাপ্ত না থাকলেও, শতকরা হিসেবে পুরাতন চেয়ারম্যানকে টপকিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আল জাবের আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৫১৩৪ ভোট পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ার দখল করেছেন। তারই প্রতিদ্বন্দ্বী নিকটতম প্রার্থী প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলী ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ৩৮৯৮৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক ৫০২৩ ভোট পেয়েছেন।
জনসাধারণের মতামতে নাছিমা মুকাই আলী যোগ্য হলেও নির্বাচনী নীতি নির্দেশক বাছাইয়ে ভুল করেছেন। গত নির্বাচনে যারা তার বিরুদ্ধে কাজ করেছিল, এবার ২০২৪ এর নির্বাচনে তাদেরকেই পরিচালনায় প্রাধান্য দিয়েছিল। অতীতের নিপীড়িত কর্মীদের খোজ খবর না করে বিতর্কিতদের মাঠে এনে পকেট গরম করেছে। কর্মীরা এক কাপ চাও পায়নি। তাই দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে বিশাল গ্রুপটি নতুনের সাথে সংযুক্ত হয়েছেন।
তারা আরও বলেন, জনগণ স্ব-ইচ্ছায় আল জাবের আনারস প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। আল জাবের ও তার লোকজন অত্যন্ত পরিশ্রমে দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। এরই প্রতিফলনে ৬১৪৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোট ৯ জনকে টপকিয়ে মো. মোখলেছুর রহমান লিটন মুন্সি স্বতন্ত্র প্রার্থী বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে ২০৮৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী ও তারই নিকটতম প্রার্থী সুনির্মল সাহা ১৬০৯৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এবং মোরশেদ কামাল চশমা প্রতীকে ১১৪৯৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫জন প্রার্থীকে টপকিয়ে ফুটবল প্রতীকের হালিমা আক্তার ৩২৮৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তারই প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুন নাহার হাঁস-প্রতিকে ২৪৭৫২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রানী কলস প্রতীকে ১৬৯২৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম জানান, নির্বাচন পরিচালনা করা খুবই কঠিন কাজ। নির্বাচনের সময় কিছু দুষ্কৃতিকারীরা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলেও বিজয়নগরে নির্বাচনে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া আইন শৃঙ্খলা সকলে মিলে সুষ্ঠু পরিবেশ রাখতে পেরেছি। বিজয়নগর সকলের সহযোগিতায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ ও কৃতকার্যদের প্রতি অভিনন্দন।