বুধবার, ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। আমরা মেথডিক্যাল মানুষও বলতে পারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বক্ততামালার বাইশতম অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, একজন মানুষ যখন বিজ্ঞানমনস্ক এবং মেথডিক্যাল হয়, শেষ পর্যন্ত সে তার লক্ষ্যে উপনীত হতে সক্ষম হয়। আমাদের জাতির পিতা ছিলেন তেমনই একজন মানুষ। যার ফলে, বঙ্গবন্ধু ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, “১৯৭০ সালে যে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সে সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষাখাতে বাজেট হবে জিডিপির ৪ থেকে ৬ শতাংশ। দেশ স্বাধীন করার পরে বঙ্গবন্ধু যে প্রথম বাজেট দিয়েছেন, সেই বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল রাষ্ট্রের মোট বাজেটের ২৫ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু সরকারের পর আর কোনো সরকার এই পরিমাণ অর্থ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করে নাই। এখান থেকে সহজে অনুমেয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাবান্ধব মানুষ।”

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু বক্ততামালার বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা: জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিরিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল ।

তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এযুগে আমাদের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শ্রমনির্ভর আমাদের যে অর্থনীতি, তাতে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তার বিকল্প উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এই প্রাযুক্তিক বিশ্বব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে, মধ্যম থেকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেধা ও জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠেছে।

“বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দেশ লক্ষ্যচ্যুত হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সঠিক পথে ফিরেছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভাবনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাবনা আমাদের পথ দেখাবে।”

পঠিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ।

তিনি বলেন, কৃষি ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লবের রূপকার ছিলেন, তিনি কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে।

“বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী বিজ্ঞান চিন্তা, সার্বজনীন দর্শন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে হেনরি কিসিঞ্জারের তুলনা করা সেই তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টির পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌহিদুল হাসান নিটোল ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *