বুধবার, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিয়ের অনুষ্ঠানে মুহূর্তে বদলে গেল শোকে

মো. মেহেদী হাসান, নন্দীগ্রাম: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ভাটরা(আড়াপাড়া) গ্রামের একটি বাড়িতে যখন শুক্রবার বিয়ের আনন্দ চলছিল ঠিক তখন সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু মুহূর্তেই পরিণত হয় শোকে।

ভাটরা কৃষকসেবা কেন্দ্রের পূর্বপাশে বাস করেন হাসের খামারী জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী ফেন্সি।তার একমাত্র কন্যা জেনিফারের শরিয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। পারিবারিক আয়োজনে মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন হয় পার্শ্ববর্তী চৌদিঘী গ্রামের পশ্চিম পাড়া নিবাসী শামছুল হকের ছেলে সোহাগের সাথে। বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে যথারীতি সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়। কিন্তু এরপরেই ঘটে দুর্ঘটনা।

বিয়েতে বরপক্ষের হয়ে দাওয়াতে আসেন ভাগশিমলা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী নাইমুল ইসলাম পলকের স্ত্রী আখি মনি ও ৩ বছর বয়সী সন্তান আয়ান। এবং পলকের দুই ভাই নয়ন ও নাহিদ।

বিয়ের আনুষ্ঠানিক খাওয়া-দাওয়া শেষে প্রচণ্ড গরমে সবাই যখন হাঁসফাঁস করছিল। তখন মায়ের চোখ আড়াল করে পাশেই রাস্তায় উঠে যায় ৩ বছরের শিশু আয়ান। সেই মুহূর্তে তেঘর বাজার থেকে শিমলাগামী মালবোঝাই এক অটোভ্যানের সাথে ধাক্কা লাগে শিশুটি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত পলকের ছোট ভাই নয়ন যায়যায়কালকে বলেন, ‘আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়িতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে একটা অটোভ্যান আমার ভাতিজারকে ধাক্কা মেরে চাকায় পিষ্ট করে চলে যায়। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাই। কিন্তু পথিমধ্যে মারা যায়।’

এদিকে মাত্র ২০ দিন আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন নিহত আয়ানের বাবা নাইমুল ইসলাম পলক। ছেলের মৃত্যুর ঘটনা শুনে পাগলপ্রায় বাবা। নিহত আয়ানকে বাদ এশা তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পলকের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকা জুড়ে শোকের মাতম বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ