খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের স্লিপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার কাজ নিয়ে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাজ না করেই ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদন্তে এসব অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হলেও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে নিম্নমানের ফ্যান ও রঙ ক্রয় করা হয়, যার মূল্য প্রাক্কলনের তুলনায় দ্বিগুণ দেখানো হয়েছে। এছাড়া, রঙের কাজ অল্প কয়েকটি রুমে করে রাতের আঁধারে কাজ সম্পন্ন করা হয় এবং প্রতিবন্ধী ছাত্র দিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করানোর মতো অমানবিক কাজও করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা ছামসুজ্জামান জামাল ও মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু এ বিষয়ে প্রথমে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে তারা জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরাও প্রধান শিক্ষকের আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক সহকর্মীদের পরামর্শ ছাড়াই নিজের মত করে কাজ করেছেন এবং সহকর্মীদের চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
বিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনার্দন চন্দ্র দেবর্শমা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে কাজের মান নিয়ে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফ্যান, রং এবং অন্যান্য সামগ্রীর মান প্রাক্কলন অনুযায়ী নয়।”
প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমেদ অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, তিনি নিয়ম মেনে কাজ করেছেন।