খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে বীরগঞ্জে শ্বশুর ও মেয়ের জামাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষে জামাই সর্ধেন শীল (৪৫) নিহত হয়েছেন।
শ্বশুর বিজয় শীল (৭৫) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বীরগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের নাপিতপাড়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত জামাই সর্ধেন শীল ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেউধা গ্রামের কর্ম শীলের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দাম্পত্য কলহের কারণে শ্বশুরবাড়িতে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সর্ধেন। প্রায় ২৫ দিন আগে স্ত্রী বাসন্তি রানী শীলের সাথে বিবাদ হওয়ার পর তিনি বাবার বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীকে পুনরায় ঘরে ফিরিয়ে নিতে বারবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন সর্ধেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সর্ধেন শীল শ্বশুর বাড়ির দরজায় এসে শ্বশুর বিজয় শীলকে ডাকতে থাকেন। শ্বশুর দরজা খুললে সর্ধেন বটি ও হাসুয়া দিয়ে শ্বশুরের উপর এলোপাতাড়ি আক্রমণ করেন। এতে শ্বশুর গুরুতর আহত হন এবং চিকিৎসার জন্য প্রথমে দিনাজপুর মেডিকেল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সর্ধেনকে আটকের চেষ্টা করা হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সর্ধেন শীল গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে বীরগঞ্জ থানার এসআই নিহার ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সর্ধেন শীলের মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে গুরুদেব শীল জানান, পারিবারিক বিরোধের কারণে মা ও তিনি নানাবাড়িতে চলে আসেন। ঘটনার রাতে তার বাবা এসে প্রথমে নানাকে আঘাত করেন, যাকে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ডাক্তার মোঃ মহসিন আলী বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই লোকটি মারা গেছেন।’
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল গফুর জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
