
ম.ব.হোসাইন নাঈম, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পূর্বের ন্যায় রাতের আঁধারে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় চৌমুহনী করিমপুর রোডে অবস্থিত নিউ ক্যারিয়ার ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ও আমিন ইলেকট্রিক দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা ও তালা ভেঙ্গে নগদ অর্থসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল লুটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তভোগি ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (২৬নভেম্বর) মার্কেটের দোতলায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দোকানের মালিক মেহের উল্ল্যা।
তিনি বলেন অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার নিজস্ব মালিকিয় দোকানে গতরাতের আঁধারে ইসতিয়াক আহমেদ সোহান(৪৫), অপু(৩১), মাজেদ রাসেল(৪২), ফাহাদ(৩২), রায়হান (২৮) সহ এদের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন অস্ত্রধারী ডাকাত গ্রুপ দোকানের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিক মালামাল লুট করে ট্রাকে করে নিয়ে যায়। ইলেকট্রনিক মালামাল ডাকাতির করার পূর্বে সিসিটিভি ক্যামেরা বিশেষ ধরনের স্প্রে করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা এত বেশি অস্ত্র-সস্ত্রে সুসজ্জিত থাকায় কেউ সামনে দাঁড়ালে প্রান নাশের সম্ভাবনা ছিল।
তিনি বলেন আমার খরিদ কৃত সম্পদে এইভাবে হামলা চালানো হলো কেন! তা আমার বোধগম্য নয়। আপনারা জাতির বিবেক আশা রাখছি আপনাদের লিখনির মাধ্যমে সঠিকভাবে অপরাধীদের তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং দোকানের লুন্ঠিত মালামাল ফেরত পাব। মুখোশের আড়ালে কারা ডাকাত সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা তা জাতি জানতে পারবে। আমি প্রধানমন্ত্রী সহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি যেন দোকানের লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন গত (প্রায়) তিন মাস পূর্বে একই সন্ত্রাসী ডাকাত দল দোকানে লাগানো সিসিটিভি ও দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রায় ৫০,০০০০০(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার মালামাল নিয়ে দোকানে থাকা নতুন তালা সাঁটারে লাগিয়ে চলে যায়।
এই বিষয়ে দোকানের মালিক বাজারে দায়িত্বরত ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অভিহিত করে বেগমগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করি। অভিযোগের ভিত্তিতে বেগমগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি’র নির্দেশে চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সবজেল হোসেন দোকানে এসে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরক্ষণে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সমঝোতার নিমিত্তে স্থানীয় এমপি মামুনুর রশীদ কিরণ দুইপক্ষের আইনজীবীদের মাধ্যমে সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিচারাধীন থাকা দোকান দুইটি ক্রয়কৃত মালিক পক্ষকে দোকান করার অনুমতি দেয়। তাদের অনুমতি ক্রমে পূর্বের ঘটনার পর সুন্দরভাবে দোকানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন
আমিন ইলেকট্রিক এর মালিক মাইনুল হোসেন পিয়াস ও নিউ ক্যারিয়ার ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স এর মালিক নাজমুল হোসেন প্লাবন।
তারা বলেন গত রাত আনুমানিক ২ঃ৩০ মিনিট হইতে ৩ঃ৩০ মিনিটের মধ্যে পাশাপাশি দু’টি দোকানের বাহিরের সিসিটিভি ক্যামরায় বিশেষ ধরনের স্প্রে ব্যবহার করে দোকানের সাঁটারের তালা ভেঙ্গে ৪০-৫০ জনের ডাকাত সন্ত্রাসী গ্রুপ দোকানে প্রবেশ করে দোকানে থাকা প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার মালামাল ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদেরকে খুঁজে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।