
দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ অনুযায়ী ছয়জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
এরমধ্যে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ ১৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান সরকারের নেতৃত্বে, ওয়ারেন্ট অফিসার এএসআই শংকর রায়, এসআই আব্দুর রহমান ও সঙ্গীয় কনস্টেবলদের সহযোগিতায় সম্প্রতি উপজেলার জালগা এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় পিতা মফির উদ্দিনের ছেলে লাইছুর রহমানকে বড় জামাই দেলোয়ার হোসেনের ঘর থেকে আটক করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে দিনাজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, আটককৃত লাইছুর রহমানের বিরুদ্ধে এমআর-১/২৫ নং মামলা চলমান রয়েছে। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
এ মামলার অপর আসামি আশা আক্তার অনেক আগেই গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে দিনাজপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
তবে এখনও ৪ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলেন—
১. মোছাঃ লিপি আক্তার (স্বামী লাইছুর রহমান)
২. মোছাঃ রাশিদা আক্তার (স্বামী দেলোয়ার হোসেন)
৩. মোঃ নয়ন মিয়া (পিতা লাইসুর রহমান)
৪. মোঃ দেলোয়ার হোসেন (পিতা মমিন ওরফে হামিদুল)
ভুক্তভোগী বাদী আব্দুল মজিদ খান জানান, আসামিগণ শুধু আদালত অবমাননাই করেননি, নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে দিনাজপুরে আমলী আদালত বোচাগঞ্জ এবং অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচার ফাইলে ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে।
বোচাগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ধারাবাহিক তৎপরতা চালাচ্ছে। পালাতক আসামিদের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও গড়াই এলাকাতেও অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ আশা করছে।
ভুক্তভোগী বাদী দ্রুত নজরদারি বৃদ্ধি ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।