রাকিব হোসেন, ভোলা : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চরপাঙ্খী গ্রামে যৌতুকের দাবিতে মাওলানা আফছার উদ্দিনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাওলানা আফসার উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার বিকালে বোরহানউদ্দিন আঞ্চলিক প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগ করে বলেন, মাওলানা আফসার উদ্দিনের সাথে ১১ বছরের সংসার তার। সংসার জীবনে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের।
বিবাহের পর থেকেই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা যৌতুক দেয় তার স্বামী আফসার উদ্দিনকে। পুনরায় আবার যৌতুক দাবি করেন মাওলানা আফসার উদ্দিন। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় মারধরসহ অমানুষিক নির্যাতন করেন তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে। একইসাথে অন্য নারীর সাথে প্রায় ২ বছর ধরে পরকীয়া প্রেম করেন। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৪ মাস আগে ওই প্রেমিকা নারী মনিরা বেগমকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন মাওলানা আফসার উদ্দিন।
তার স্বামী মাওলানা আফসার উদ্দিন যৌতুক চাওয়ায় প্রথম একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন মোর্শেদা বেগম। যার নং-১৯৮/ ২০২৪ ইং। (বোর)। যৌতুক মামলার তারিখের দিন ভোলার আদালতে তার সাথে সংসার করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় তার স্বামী মাওলানা আফসার উদ্দিন। বাড়িতে এসে মাওলানা আফসার উদ্দিনসহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী মনিরা বেগম প্রথম স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে মারধরসহ অমানুষিক নির্যাতন করেন।
এ ঘটনায় মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা নারী ও শিশু মামলা নং-২৭৭/২০২৪ ইং। মামলাটি বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
এদিকে মাওলানা আফসার উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রথম স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে ডিভোর্স দিয়ে মনিরা বেগমকে দ্বিতীয় বিবাহ করি। প্রথম স্ত্রী কোর্টে মামলা করেছে। মামলা চলমান রয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জব্বারুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্ত চলছে।