ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হলেই ওষুধ কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা চিকিৎসাপত্রের (প্রেসক্রিপশন) ছবি তুলেন বলে রোগীদের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সহযোগিতায় অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ প্রশ্ন তোলা হয়। এ সময় উপস্থিত এক চিকিৎসকও জানিয়েছেন যে, তার স্ত্রী এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছিলেন।
হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে হওয়া এ মত বিনিময় সভায় আরো অভিযোগ করা হয়, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট বেশ সক্রিয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে সেবা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জানানো হয় দালাল চক্র সক্রিয় থাকার কথা। এছাড়া অপর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ নানা ধরণের অভিযোগ করা হয় ওই মত বিনিময় সভায়। এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু, হাসপাতালের আরএমও মো. ফয়জুর রহমান, আরএমও মো. সুমন ভঁইয়া, টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ, কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশজিৎ পাল বাবু, নদী ভিত্তিক সংগঠন নোঙর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি আশিক মান্নান হিমেল প্রমুখ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এখানে সেবার মান অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রায় তিন হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়। আগে প্রতিমাসে ১০-১২ লাখ টাকা আয় হলেও গত কয়েকমাস ধরে ২৪ লাখ টাকার নিচে হয় না। দালালসহ অন্যাসন্য অপরাধীদের ঠেকাতে নিয়মিত পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ৯১ জন কর্মচারির চাহিদা দেওয়া হলে অন্তত ৭১ জন নিয়োগের বিষয়টি চুড়ান্ত পর্যায়ে।
চিকিৎসাপত্রের ছবি তোলার বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদেরকে সপ্তাহে একদিন এক ঘন্টার জন্য আসতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। চিকিৎসাপত্রের ছবি তুলতেও নিষেধ করা আছে। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে তাদের সাথে আবার বসে কথা বলা হবে।