
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ভ্রমণ পিয়াসু ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে এখন অনন্য একটি নাম শেখ হাসিনা সড়ক। হাওরের বুক ভেদ করে আকাবাকা সড়কের দু ধারে এখন নীল জলরাশী। প্রকৃতির সুন্দরতম নৈসর্গিক এই স্থানটি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সড়কের দু পাস থেকে আছড়ে পড়ছে তিতাস নদীর ঢেউ।
শেখ হাসিনা সড়কে ঘুরতে আসছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত তিনি বলেন আগে হাইওয়ে সড়ক ধরে সরাইল বা আখাউড়া ঘুরে যেতে হতো তিতাস পূর্বাঞ্চলের মানুষ। সময়ও লাগতো দেড়-দু’ঘন্টা। যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় পত্তন, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, বিষ্ণুপুর ও পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এ সড়ক দুর্ভোগ দুর করার পাশাপাশি হয়ে উঠেছে দশর্ণীয় স্থান।
জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি বলেন, শেখ হাসিনা সড়ক র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর অবদান, বিজয়নগরের মানুষ সারা জীবনে এ ঋণ শোধ করতে পারবে না।
খাল-বিল,নদী-হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরন্ত বিকালে সেখানে ভীড় করছেন শতশত মানুষ। আর প্রসংশায় ভাসছেন র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সিং- শেখ হাসিনা সড়কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ী মো: ইব্রাহিম খান, তিনি জানান, শহরে ভিতর কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই, শেখ হাসিনা সড়ক কর্মব্যস্ত মানুষদের প্রশান্তির একটা জায়গা তৈরি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী মোঃ ইব্রাহিম খান বলেন, শেখ হাসিনা সড়কের সৌন্দযর্ের কথা শুনে স্ব পরিবারে এখানে ঘুরতে আসলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ সড়ক মিনি কক্সবাজার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত পাচ্ছে। ইট কাটের শহরের বাহিরে এ সৌন্দয্য মানুষকে মুগ্ধ করছে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিরাইলকান্দি থেকে বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের সিমলা পর্যন্ত প্রায় ৯ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতার কারণে নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হলেও এখন সড়কটি উন্মোক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সড়কটি নির্মাণে ব্যয় প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর প্রচেষ্টাতেই হয়েছে হাওরের বুকে পিচঢালা এই পথ।