সোমবার, ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভুরুঙ্গামারীতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে ১১ নেতাকর্মী আহত

ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে মারধর করার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মী আহত হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলারহাট বাজারে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী পাগলারহাট বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতির পদে থাকায় দীর্ঘ দিন থেকে আওয়ামীলীগ পন্হীরা তাকে অপসারণের চেষ্টা করে আসছে। এরই জের ধরে বুধবার রাত আনুমানিক ১২ টার সময় একই এলাকার মোজাম্মেল হকের পুত্র কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য আশরাফুল আলম(২৫), উত্তরছাট গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মুন্সীর পুত্র গোপালগঞ্জ শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মো. ওয়াজেদ আলী(২৫) ও দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিল মিয়া (২৩) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের জালাল উদ্দিন পাগলারহাট বাজারে শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়।

এক পর্যায়ে তারা মোহাম্মদ আলীকে কিলঘুষি মেরে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ আলীর চিৎকারে বাজারের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় মোহাম্মদ আলী রাতের হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে পাগলারহাট চেয়ারম্যান মোড়ে ইউনিয়ন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে রাতে আশরাফুল, ওয়াজেদ, সাকিল ও জালাল উদ্দিন কেন তার উপর হামলা করল বিষয়টি জানার জন্য প্রথমে ওয়াজেদ আলীর বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে ঘটনার মুলহোতা আশরাফুল আলমের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করার সময় ছাত্রলীগের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী হাতে দা, বেকি, ছুরি ও লোহার রড নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে।

এ সময় আহতদের চিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা বাসার পিছন দিক থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুদ্ধ হয়ে বিএনপি ও বাজারের লোকজন ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলমের বাড়ি ভাঙচুর করে। পরে আহতদের চিকিৎসার জন্য ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হলেন-উপজেলার কাঠগির গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র সোহাগ রানা(২৩), চর উত্তর তিলাই গ্রামের আব্দুল হালিমের পুত্র মনিরুল ইসলাম(১৭), উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল বারির পুত্র তহিদুল ইসলাম(২৪), উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র জাহিদ হাসান নাহিদ (২১), চর উত্তর তিলাই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের পুত্র মাহমুদুল হাসান(১৪), চর উত্তর তিলাই গ্রামের আব্দুস ছামাদের পুত্র সাজু মিয়া(১৪), শালঝোড় গ্রামের ইব্রাহিম আলীর পুত্র জিহাদ হোসেন(২০), চর উত্তর তিলাই গ্রামের মনোয়ার আলীর পুত্র জুয়েল রানা(১৮)। এছাড়া আরও তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করা হয়েছে।

এবিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, এখন পর্যন্ত কারো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *