
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) মতিহার থানার এসআই সুনিরাম মুরমু ও এসআই আব্দুল রউফ গত কয়েকদিন থেকে মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় নদীর ধার এলাকায় “সুমন স্টোর” নামে একটি মুদি দোকানে গিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করতেন। তাদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পাড়ায় “সুমন স্টোর” এর মালিক সুমন আলীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুমনের পরিবার।
রোববার একটি সাংবাদিক সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকরেন সুমনের ছোট বোন ও শ্যামপুর (চরপাড়া) এলাকার আকবর আলীর মেয়ে সুমাইয়া।
সুমাইয়া বলেন, গত ২৫ মে ২ রাত ১০টা ৫০মিনিটের দিকে মতিহার থানা এলাকার তালাইমারী (পাওয়ার হাউজপাড়া) এলাকা থেকে এক মহিলা মাদকব্যবসায়ীকে মাদকসহ আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। সেই মামলায় পলাতক হিসেবে ব্যবসায়ী সুমনকে দেখিয়ে মামলা করেছেন। মামলায় যে সময় উল্লেখ আছে সে সময়ে সুমন তার দেকানে ছিলো যার সি সি টিভি ফুটেজ ভুক্তভোগীদের কাছে সংরক্ষিত আছে বলেও জানান তিনি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের চাওয়া অর্থ দিতে না চাওয়ার কারনে আজ ব্যবসায়ী সুমনের নামে এমন মিথ্যা মামলা দিয়েছে এই পুলিশ সদস্যরা বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সুমনের মা বলেন, আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে আমার সন্তানের নামে হওয়া মিথ্যা মামলার বিষয়টি প্রকাশ করে আমার সন্তানের নামে হওয়া মিথ্যা মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা জানি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার একজন ভালো মানুষ। আমি তার কাছে আমার সন্তানের নামে হওয়া মিথ্যা মামলা তদন্ত পূর্বক প্রত্যাহারসহ মতিহার থানার এসআই সুনিরাম মুরমু ও এসআই আব্দুল রউফ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে সুমনের পিতা আকবর আলী, মা নুরবানু বেগম ও তার ছেলে-মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মতিয়ার থানার এসআই সুনিরাম মুরমুকে ফোন দিলে তিনি থানায় গিয়ে কথা বলার জন্য বলেন এবং ফোনে কোন কথা বলবে না বলে ফোন কেটে দেয়।
এছাড়াও মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো: মোবারক পারভেজ বলেন, তাদের কাছে যদি সেরকম কোন সিসিটিভি ফুটেজ থাকে তাহলে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে।