
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল বলেছেন ২০০৮ সালে আমি নমিনেশন পেয়েছিলাম, রাজনৈতিক কারণে তখন ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। পরে ২০১৪ সালে আবারো নেত্রী আমাকে নমিনেশন দিয়েছেন। এবং ২০১৮ সালে একটু অভিমান করে নিজেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। এমন না যে আমাকে নমিনেশন দেয়া হয়নি।
গেল পাঁচ বছরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন,পরবর্তীতে ভাবলাম একটি জায়গা এতো সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়ে আসলাম,আর সেখানে মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছে। এসব দেখেই আবারও এমপি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
সাধারণ মানুষের পক্ষে নবীনগরের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা ফয়জুর রহমান বাদল বলেন, একজন এমপি জনগণের কথা শুনতে হবে, কর্মীদের কথা না। উপস্থিত জনসাধারণকে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমার সাথে যারা রাজনীতি করেন সবাই সাংগঠনিক মানুষ, তারা জনবান্ধব, তাদের সাথে মানুষের সু সম্পর্ক রয়েছে । কারণ তারা আমাকে পরামর্শ দেন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে চাননা।
নবীনগরের উন্নয়ন সম্পর্কে সাবেক এই সাংসদ আরো বলেন, গুগল ম্যাপ দেখে দেখে নবীনগরের মেগা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করেছি। এবার যদি এমপি হই তাহলে কোনাঘাট থেকে বাঞ্ছারামপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো।যাতে করে ঢাকার সাথে মানুষের যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন হয়। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং গণ সংযোগের অংশ হিসাবে আজ রবিবার দিনব্যাপী পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদল এসব কথা বলেন। এসময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি আব্দুর রহমান,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন চৌধুরী টিটু,আওয়ামিলীগ নেতা মুস্তফা জামাল, উপজেলা যুব লীগের সভাপতি সামস আলম,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ওমর ফারুক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রোমান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর সমর্থনের নবীনগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিটের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।