
সমাপ্তী খান, মাভাবিপ্রবি: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন।
নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সুমন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আইসিটি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী তানভীর ইসলাম তামিম।
কমিটির অন্যান্য পদে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন—সহ-সভাপতি মো. নাফিজ ইশতিয়াক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেবা সামিহা করবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবির হাসান, কোষাধ্যক্ষ মো. উদয় তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক সানজিদা ইসলাম চৈতি, গবেষণা সম্পাদক শেখ সামিয়ান পারভেজ হিমেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শাকিল সরকার, প্রচার সম্পাদক মো. ইশতিয়াক আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক তাসনিম রহমান ঐশী, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক সালাউদ্দিন, স্বাস্থ্য সম্পাদক মো. কবির হোসেন এবং শিক্ষা সম্পাদক মো. হাসান মাহমুদ।
এছাড়া নারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মারজিয়া আক্তার, ধর্ম সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, যুব সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম, ত্রাণ ও স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক খন্দকার রিফাত আহমেদ, পরিবেশ সম্পাদক সানিউর রহমান, শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক মো. মুন্নাফ হোসাইন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সীমান্ত হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. শোহানুর রহমান শাওন এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদক দিপু চন্দ্র বর্মণ। কার্যকরী সদস্য হিসেবে আছেন সুমাইয়া রেজা সুপ্তি, মো. শাকিল মিয়া, আল-আমিন এবং মো. তৌহিদুল ইসলাম।
নবনির্বাচিত সভাপতি সুমন মিয়া বলেন, “মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী জীবদ্দশায় জুলুম, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করেছেন। তাঁর আদর্শ আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শেখায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই উজ্জ্বল ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি। আমরা মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর জীবন ও আদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব অনুভব করি। ছাত্র ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাব।”
সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইসলাম তামিম বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ভাসানীর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মের সার্বিক উন্নয়ন। তাঁর সংগ্রামী চেতনা, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার রক্ষার দর্শন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার আজও অনুপ্রেরণার উৎস। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের গবেষণা, জ্ঞানচর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, রক্তদান, ত্রাণ বিতরণ এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করছি।”
উল্লেখ্য, মওলানা ভাসানী ছাত্র ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হলো—“মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মের সার্বিক উন্নয়ন।” সংগঠনটি ভাসানীর সংগ্রামী জীবন ও আদর্শকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গবেষণা, ওয়েবিনার, সেমিনার, সাংস্কৃতিক উৎসব, কবিতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। পাশাপাশি “ভাসানী লাইব্রেরি কর্নার” স্থাপন, লিডারশিপ ট্রেনিং, মেধাবী কিন্তু অক্ষম শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, রক্তদান, ত্রাণ কার্যক্রম, পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধ চর্চাসহ নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
এছাড়া দরবার হল, শাহজামান দিঘি ও কাগমারী সম্মেলন স্তম্ভসহ ভাসানীর স্মৃতিবিজড়িত স্থান সংরক্ষণেও ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশ, মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রতকরণ ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে ফাউন্ডেশন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।