দিনাজপুর প্রতিনিধি: সিনিয়র সাংবাদিক খাঁন মো. আ. মজিদকে চায়ের দোকানে সবার সামনে প্রাণে মেরে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে মামলার আসামিরা।
গত ২৪ অক্টোবর সেতাবগঞ্জ রেলগেট চায়ের দোকানদার শফিকুলের মাধ্যমে বলে মামলা তুলে না নিলে সাংবাদিক পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকি প্রকাশ্যে জানানো হয়।
এর আগে ১৯ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মো. জালাল (ঢাকাইয়া) মাধ্যমে এক নম্বর আসামি শেখ জামাল, দুই নম্বর আসামি শেখ কামাল, তিন নম্বর আসামি শেখ আলামিন ও তাদের সহযোগীরা তাকে হুমকি দেয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর কোর্টে ৩ নং দায়েরা জজ আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় শেখ জামাল, শেখ কামাল, এবং শেখ আলামিনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত।
এর পর ১৪ অক্টোবর বোচাগঞ্জ থানার পুলিশ রাত আনুমানিক ১টার দিকে এক নম্বর আসামি শেখ জামালকে গ্রেফতার করে। এর কিছুক্ষণ পরে পরে আসামির মা মোছা. জামিরন ওরফে রিনা (৬৫) গত সোমবার দিবাগত রাতে আনুমানিক দেড়টার দিকে তার দলবল নিয়ে অতর্কিতভাবে সাংবাদিক মো. আ. মজিদ খাঁনের বাড়িতে এসে হামলা করে। উচ্চ কন্ঠে চিৎকার দিয়ে দরজায় বিকট শব্দ করেন এবং ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক মজিদের পরিবারের ভয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে বোচাগঞ্জ থানায় ফোন দিলে ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদ হাসান সরকার পুলিশের ফোর্স পাঠান। এসআই হাশেম ও তার টিম ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রিনা তার সাথে থাকা দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১৫ অক্টোবর ১নং আসামি শেখ জামাল দিনাজপুর কোর্ট হতে জামিনে মুক্তি পান। পরের দিন ১৬ অক্টোবর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়িতে এসে শেখ জামাল তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক খাঁন মো. আ. মজিদকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।
আসামিরা বলেন, ‘মামলা তুলে না নিলে খুন ও গুম করে মেরে ফেলবো।’
আসামিরা আরো বলেন, ‘তোর মা ও তোর স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি। ২০২১ সালে তোর বাড়িঘর উচ্ছেদ করে বিতাড়িত করেছিলাম।’ এ সময় অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আসামিরা।
গত ২৪ অক্টোবর সেতাবগঞ্জ রেলগেট চায়ের দোকানদার শফিকুলের মাধ্যমে বলে মামলা তুলে না নিলে সাংবাদিক পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকি প্রকাশ্যে জানানো হয়।
এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক মো. আ. মজিদ খাঁনসহ তার পরিবার।
