শাহ্ জালাল সিকদার, মালদ্বীপ থেকে: মালদ্বীপে পাকিস্তানি সহকর্মীর হাতে মোঃ শাহিন নামে এক বাংলাদেশি যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৬ই এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে খুন হন তিনি। নিহত মোঃ শাহিন বি-বারিয়া জেলার, বিজয় নগর উপজেলার, চানপুর গ্রামের মোঃ কদ্দুস মিয়ার ছেলে। নিহত শাহিনের স্বজনরা জানান, ২৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি যুবক মোঃ শাহিন মালদ্বীপের একটি খাবারের রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারের খাবার তৈরির সময় মোঃ শাহিনের সঙ্গে পাকিস্তানি যুবক আবেদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোঃ শাহিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন তিনি। এ সময় মুখে ও পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের ফলে রক্তক্ষরণ হয় শাহিনের। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে তার অন্য সহকর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার শাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর পাকিস্তানি ওই যুবককে পলাতক বলে অবিহিত করেন মালদ্বীপ পুলিশ। স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, মো. শাহিন কয়েক বছর আগে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মালদ্বীপে আসেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী হুলেমালে সিটিতে খানজি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চি কাজ করেন। শনিবার সন্ধা ৭টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সহকর্মী আবেদ তার মুখে এবং পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শনিবার সন্ধায় তার মৃত্যুর বিষয়টি গ্রামের বাড়িতে জানাজানি হলে শুরু হয় আহাজারি। তার গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তার ভাই আবদুল হক বলেন, শাহিনের মৃতদেহ দেশে পাঠানো সহ দ্রুত সুষ্ঠু বিচার চান। খবর পেয়ে স্থানীয় চানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিনের বাড়িতে গিয়ে সান্ত্বনা দেন তার পরিবারকে।
চানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে সান্ত্বনা দেই। তার মরদেহ আনার বিষয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এই বেপারে মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে দূতাবাসের প্রথম সচিব মোঃ সোহেল পারভেজ বলেন আমরা বিষয়টি শুনেছি এবং দেখেছি।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কাগজপত্র পাইনি মো. শাহিনের। তিনি আরও বলেন এ বেপারে পাকিস্তান হাইকমিশনার এর সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং পাকিস্তান হাইকমিশনার আশ্বস্ত করেছেন যে দ্রুত তদন্ত করে দোষীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
দূতাবাসের পক্ষ্য থেকে বলা হয় নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান এর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য,, মৃত মোঃ শাহিন পাঁচ বছর আগে মালদ্বীপে আসেন, তিনি আনডকুমেন্টারি হিসেবেই রাজধানীর পার্শ্ববর্তী হুলেমালে সিটির খানজি রেস্তোরাঁয় বাবুর্চি কাজ করতেন।গত কিছু দিন আগে বৈধতা হয়ার জন্য খানজি রেস্তোরাঁর মালিক এর সাথে কনট্যাক্ট পেপারে সাইন ও করেন প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাওয়ার আসায় কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক শাহিনের আর দেশে ফিরা হলোনা।
যায়যায়কাল/১৭এপ্রিল/কেএম/