মালদ্বীপ প্রতিনিধি: `শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক` এই প্রতিপাদ্যে নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা এগারো টায় বাংলাদেশ দূতাবাসে গভীর শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালোবাসার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু-পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালিত হয় মালদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশি কমিউনিটি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবদুল কালাম আজাদ।
একি সাথে শেখ রাসেল দিবসের থিম-সং পরিবেশন ও শেখ রাসেলের জীবনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মো. মিজানুর রহমান ভুঞাঁ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শুনান।
এছাড়া অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম.) মো. সোহেল পারভেজ। মালদ্বীপ আ`লীগের সভাপতি আলহাজ্ব দুলাল মাতবর প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে তার বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার এর প্রতি অনুরোধ করেন, শেখ রাসেল ও শেখ পরিবারকে হত্যাকারী খুনিরা বিশ্বের যেকোনো রাষ্ট্রে থাকুক না কেনো তাদের খুজে বাংলার মাটিতে এনে যেনো দ্রুত বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
দূতাবাসের কন্সুলার সহকারী জনাব এবাদুল্লাহর সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে মন্যবর হাইকমিশনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে, শেখ রাসেল ছিলেন নম্র-ভদ্র এবং আচরণে অত্যন্ত মার্জিত। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া শেখ রাসেলও পরিবারের অন্য সদস্যদের মতো খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। রাষ্ট্র প্রধানের সন্তান হিসেবে কখনো তাঁরা জীবন নির্বাহ করেননি। মাত্র ১০ বছর বয়সে (১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট) মানব ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞে, কাপুরুষ-ঘাতকের বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শাহাদাৎ বরণ করেন শেখ রাসেল। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তিনি আরও বলেন, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ রাসেলের জীবনধারা তুলে ধরতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মালদ্বীপ আ`লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, এনবিএল মানি ট্রান্সফার প্রা. লি. এর ডিরেক্টর মো. হান্নান খান কবির, ফোর এল ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম। এছাড়াও আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মালদ্বীপ প্রবাসি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করায় হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
সবশেষে, শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটা হয় এবং উপস্থিত সকলকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হয়। এছারাও দিবসটি উপলক্ষে গত (১৫, অক্টোবর) হাইকমিশনের হলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু কিশোরদের জন্য একটি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শেষে, শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব সদস্যের জন্য বিশেষ দোয়া এবং মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।