
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় মিত্সুবিশি এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি (এনিক্কি ফেস্টা) ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২২ ও ২০২১-২০২২-এর পুরস্কার, সনদ বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
২৪ জুলাই বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে পুরস্কার, সনদ বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ২৪ জুলাই-১২ আগস্ট প্রতিদিন সকাল ১১টা-সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জাতীয় চিত্রশালার ২নং গ্যালারিতে নির্বাচিত সকল শিশুশিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে।
মিত্সুবিশি এশীয় শিশুদের সচিত্র দিনলিপি এনিক্কি ফেস্টা’ এশিয়ার চব্বিশটি দেশের ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদের পারস্পারিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি অন্যতম মঞ্চ। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের শিশুরা তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন রীতি-প্রথা, সমাজ ব্যবস্থা, পরিবার, শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ের উপর অংকিত চিত্রকর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। শিশুদেরকে একে অপরের সংস্কৃতি বুঝতে ও সম্মান করতে এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যত গঠনের জন্য একসাথে কাজ করতে সহযোগিতা করার লক্ষেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। চিত্রকর্মের মাধ্যমে মনের অভিব্যক্তির পরিস্ফূটন ঘটে খুব সহজেই। তাই কোমলমতি শিশুদের তাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডগুলো চিত্রাংকনের মাধ্যমে প্রকাশ করার সহজ মাধ্যম হিসেবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মিত্সুবিশি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি, এশিয়ান প্যাসিফিক ফেডারেশন অফ ইউনেস্কো ক্লাব এন্ড অ্যাসোসিয়েশনস্ এবং জাপানের ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইউনেস্কো অ্যাসোসিয়েশনস।
১৯৯০ সাল থেকে বিরতিহীনভাবে চলা শিশুদের এই শিক্ষামূলক যাত্রাতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই আয়োজন করে থাকে।
মিত্সুবিশি এশীয় শিশুদের এনিক্কি ফেস্টা ২০১৭-২০১৮, ২০১৯-২০২২ ও ২০২১-২০২২ পুরস্কার প্রদান করা হবে। ২০১৭-২০১৮ এর আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে ১৬৫০ জন শিশুর ৮২৫০টি চিত্রকর্ম জমা পড়ে এবং প্রদর্শনীর জন্য ৩১০ জন শিশুশিল্পীর চিত্রকর্ম নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৯-২০২০ এর আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে ১৭২০ জন শিশুর ৮৬০০টি চিত্রকর্ম জমা পড়ে এবং প্রদর্শনীর জন্য ৩৩০ জন শিশুশিল্পীর চিত্রকর্ম নির্বাচিত হয়েছে। ২০২১-২০২২ এর জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে ২৬৮০ জন শিশুর ১৩,৪০০টি চিত্রকর্ম জমা পড়ে এবং প্রদর্শনীর জন্য ৩১০ জন শিশুর চিত্রকর্ম নির্বাচন করেন বিচারক মন্ডলীরা। যার মধ্যে প্রতি বছর জাপানে প্রেরণের জন্য সেরা ৮ জন শিশুশিল্পীর ৫টি করে মোট ৪০টি চিত্রকর্ম নির্বাচন করা হয়। উল্লেখ্য, জাপান আয়োজক সংস্থা ৮ জনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ চিত্রকর্মের জন্য ১ জনকে গ্র্যান্ড প্রিক্স অ্যাওয়ার্ড, ১ জনকে মিত্সুবিসি পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি অ্যাওয়ার্ড, ১ জনকে এশিয়ান প্যাসিফিক ফেডারেশন অব ইউনেস্কো ক্লাবস্ এন্ড এসোসিয়েশনস্ অ্যাওয়ার্ড, ১ জনকে ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইউনেস্কো এসোসিয়েশনস ইন জাপান অ্যাওয়ার্ড এবং ৪ জনকে এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড তিন অর্থবছরে ৮জন করে মোট ২৪জনের শিশুশিল্পীর নাম ঘোষণা করেছে যা আমাদের জন্য গর্বের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন বরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। সভাপতিত্ব করবেন জনাব লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
ধন্যাবাদ জ্ঞাপন করবেন জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ, সচিব, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সৈয়দা মাহবুবা করিম, পরিচালক, চারুকলা বিভাগ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।