নুরুল ইসলাম সবুজ, সাতকানিয়া: সাতকানিয়ার ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্মারকলিপি, সংবাদ প্রকাশ ও ফেসবুকে অপপ্রচার করা হয়েছে দাবি করে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোরশেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদকে সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। এলাকার মানুষ শান্তিতে আছে। এরপরও মিথ্যা তথ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আমার অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি দিয়ে পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর আমার বিরুদ্ধে দৈনিক আজাদী পত্রিকায় উপজেলা বিএনপির স্মারকলিপি ছদাহা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান অপসারণের দাবি শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মনগড়া, ভিত্তিহীন, বানোয়াট। যেটির আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্যহীন জনসেবা নিশ্চিত করতে আমার পরিষদের সহকর্মীদের নিয়ে আমি সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলস্বরূপ সাতকানিয়াতে অন্যান্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত বা আত্মগোপনে চলে গেলে সরকার কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগ করেন। আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার দায়িত্বে বহাল আছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। এটা আমার জন্য যেমন সম্মানের, তেমনি ছদাহ ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণের জন্যও সম্মানের। আমি এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন , এতকিছু সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে যখন সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির একটি অংশ অভিযোগ করেছে বলে জানতে পারি, তখন আমি সাতকানিয়ার জামায়াত-বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করি। জামায়াতের সকল নেতৃবৃন্দ আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন এবং আমার সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং দক্ষতার উপর আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন। আপনারা জানেন সাতকানিয়া বিএনপি চারটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, অন্য গ্রুপের অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, আরেকটা অংশের নেতৃত্বে দেন গফফার চৌধুরী। সর্বশেষ যে অংশ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে তার নেতৃত্ব দেন জামাল হোসেন। এদের তিনটি গ্রুপের প্রধানেরা আমাকে আশ্বস্ত করেছে এবং প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে।
তারা জানান, বিএনপি জনগণের দল, ছদাহার জনগণ যদি আপনাকে চায়, তারা যদি আপনার বিরুদ্ধাচরণ না করে, আপনি যদি স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে তো আমাদের আপত্তি থাকার কথা না, ছদাহার স্থানীয় জনগণ নির্ধারণ করবেন আপনি কি অপসারণ হবেন না থাকবেন। আমি উপরোক্ত তিন গ্রুপের কথায় সন্তুষ্ট, যেহেতু ছদাহার আপামর জনসাধারণ আমার উপর আস্থা রেখেছে, আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। উক্ত অভিযোগপত্রে ছদাহার কোনো মানুষের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রমাণিত। তাই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিঃসন্দেহে ভুয়া, বানোয়াট, মনগড়া গল্প কাহিনি। যেটা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই বলে মন্তব্য করেন তিনি।