
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকায় ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে শ্রমিকসহ জোড়া খুন হয়েছে। গতকাল রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১৪’তে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে রহমান, ইমু, টিপু ও নিষাদ মিলে ‘মৌসুমী গার্মেন্টস’ নামীয় জুট মিল ব্যবসা শুরু করেন।
এদের মধ্যে নিষাদের সঙ্গে অন্য ব্যবসায়িক পার্টনারদের প্রায়ই ব্যবসায় নিয়ে মতবিরোধ হতো। একপর্যায় নিষাদের সঙ্গে অন্যান্য ব্যবসায়িক পার্টনারদের লাভ-লসের হিসাব নিয়ে চরম বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে নিষাদ তার রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে এলাকার গুন্ডাপান্ডা দিয়ে অন্যান্য ব্যবসায়িক পার্টনারদের ব্যবসায় থেকে সরে যেতে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে অন্যান্যরা নিষাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে গার্মেন্টসে নতুন জুট এলে রহমান, ইমু ও টিপু ট্রাকে জুট উঠানোর সময়ে নিষাদ ও তার ভাই পাপ্পুসহ তাদের দলীয় সন্ত্রাসীরা মিলে রহমান, ইমু, টিপু ও তাদের শ্রমিকের উপর অস্ত্রসহ অর্তকিত আক্রমণ করলে সবাই আহত হয়। এবং ঘটনাস্থলে শাহাজালাল নামে এক শ্রমিক নিহত হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় কাফরুল থানা পুলিশ ঘটনা স্থালে জান। সেখানে শাহাজালাল নামের শ্রমিকের লাশ দেখতে পেয়ে ময়নাতদন্ত করার জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান ও অজ্ঞাতনামীয় আসামীদের নামে ১০ ডিসেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়দের বরাতে আরও জানা যায়, পাপ্পু ও তার সঙ্গীয় কিছু সন্ত্রাসীরা রহমান, ইমু, টিপু ও শ্রমিকদের হামলা করতে গেলে তারা গামের্ন্টসের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের ধাওয়া করতে গেলে পাপ্পু ও তার সঙ্গী পলাশ পেছনের দরজা দিয়ে পড়ে গিয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
স্থানীয় থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পরের দিন নিষাদ পাপ্পু ও পলাশ হত্যার জন্য বাদী হয়ে পুলিশের নিকট রহমান, ইমু, টিপুসহ আরো ১০ জনকে আসামী দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলা করার পর রহমান, ইমু ও টিপুর বাড়িঘর ভাঙচুর হয় এবং তাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় নিষাদ গ্রুপ । সেই থেকেই তারা পলাতক রয়েছে।