রেদোয়ান হোসেন জনি, মিরসরাই: অবৈধভাবে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙ্গনের কবলে ফেনী নদীর তীরবর্তী মিরসরাইয়ের ১নং করেরহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম অলিনগর বাজার নিকটবর্তী মোল্লা বাড়িটি ভাঙ্গনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলো।
তারমধ্যে সম্প্রতি বয়ে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সময় বসতঘর, আসবাবপত্র, স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের শিক্ষা উপকরণ, খাবার, টিউবয়েল,গোয়ালঘর সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ের পরে ঐ বাড়ির বসত ভিটাতে নতুন করে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে, এতে যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আতংকে দিন কাটছে ঐ বাড়ির ৭ পরিবারের বাসিন্দাদের।
গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে তারই ভয়াবহতা লক্ষ্য করা গেছে। বন্যার সময় এবং বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কোনরকম সরকারি সহযোগিতা পায়নি এবং বন্যা পরবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করলেও স্থায়ী পুনর্বাসনের বিষয়ে কোন আশ্বাস দেয়নি বলে বিপদগ্রস্ত পরিবারগুলো’র পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ঐ বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত সাত পরিবার হচ্ছে, জাফর উদ্দিন বাবুল (৪৫), মহিউদ্দিন(৬৫), ফখরুল ইসলাম(৩০), ইউনূস(৪৫), জালাল উদ্দিন(৫০), জাকির হোসেন ভুঁইয়া(৪৭) ও রিয়াদ হোসেন (৩২)।
ভাঙ্গন কবলিত ভুক্তভোগী মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, গেল কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গনের ফলে নিজস্ব জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে সবশেষে আমাদের বাড়িটি ভাঙ্গনের কবলে হুমকির মুখে ছিলো। তারমধ্যে এবারের ভয়াবহ বন্যায় সবকিছু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হবে এই আতংকে নির্ঘুম কাটতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাইয়ে দায়িত্বরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের জানান, বন্যা পরবর্তী ফেনী নদী তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত সেসব স্থান চিহ্নিত করে বুধবার থেকে জরিপ কার্যক্রম চলবে।