জাহিদ মাহমুদ, মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বিগত ১৭ বছর যাবত ভুয়া শিক্ষা সনদে চাকরী করছেন।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হবার পর বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষককে অফিস সহায়ক হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, আক্তারুজ্জামান গ্রামের রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। ২০০১ সালে তিনি এসএসসি পাশ করেন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিদেশে কাজ করেন। এরই মাঝে আক্তারুজ্জামানানের স্ত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে গোপনে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দানের ব্যবস্থা করেন। ২০০৫ সালে কোন রেজুলেশন ছাড়াই সভাপতি নিয়াতুল্লাহ তাকে নিয়োগ দিয়ে সেটি গোপন রাখেন। ২০০৭ সালে আক্তারুজ্জামান বিদেশ থেকে ফেরত আসেন এবং চলতি বছর গাংনীর কাজিপুর ডিগ্রি কলেজে(Open University) উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। প্রয়োজনীয় শিক্ষা সনদ না থাকার পরও কীভাবে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন তার জবাব মেলেনি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সাইদুল হাসান জানান, আক্তারুজ্জামান প্রবাসে যাওয়ার আগে যোগাযোগ করে গিয়েছিলেন। প্রবাস থেকে ফিরে স্থানীয়দের চাপের মুখে তাকে সহকারী কৃষি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আক্তারুজ্জামানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ কাগজপত্র দেখতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কাগজপত্র বাড়িতে আছে বলে জানান। আক্তারুজ্জামানকে কৃষি শিক্ষক থেকে বাদ দিয়ে অফিস সহায়ক পদে পুনরায় নিয়োগ দেয়া হবে। সহকারি কৃষি শিক্ষককে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষক।
গাংনী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি বিদ্যালয়টি এমপিও হয়েছে। শিক্ষকদের সকল তথ্যাদি চাওয়া হচ্ছে। যদি তার কাগজপত্রে সমস্যা থাকে যাচাই-বাছাই বাদ দেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্যঃ সম্প্রতি হাড়াভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিও নিবন্ধিত হয়েছে।ওই কৃষি শিক্ষক আক্তারুজ্জামানে পিডিএস আইডি নং-১০১৪৭১১৮৪।