মো. হাসান ভূইয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাবার দায়ের কোপে রানু বেগম (১৫) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের ঘণশ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক মঈনুদ্দিনকে (৪২) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রানু বেগম প্রায় সময়ই মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ছেলের সাথে কথা বলতো। বিষয়টি তার পিতা মঈন উদ্দীন ভালোভাবে নিতেন না। মেয়েকে বার বার নিষেধ করেও তিনি ব্যর্থ হন। বুধবার দুপুরে মঈন উদ্দিন বাড়িতে এসে দেখতে পান রানু মোবাইলে কথা বলছে। তখন মঈন উদ্দিন পিছন দিক থেকে ধারালো দা দিয়ে মেয়ের ঘাড়ে কোপ দিলে মেয়ের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মঈন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন।
নিহত রানু বেগমের মা শাহেদা বেগম জানান, ‘মোবাইলে কথা বলার জেরেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমার স্বামী। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’ এদিকে অভিযুক্ত মঈন উদ্দিন মাধবপুর থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে মেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত মঈন উদ্দিন মাধবপুর থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে মেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আটক মঈন উদ্দিন থানা হেফাজতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।