যায়যায়কাল ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস জেটব্লুর একটি উড়োজাহাজ ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দরে অবতরণের পর সেটির ল্যান্ডিং গিয়ার বা চাকার খোপের ভেতরে দুটি মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে।
এক বিবৃতিতে জেটব্লু কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত সোমবার স্থানীয় সময় রাতে তাদের একটি উড়োজাহাজ ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। নিয়মিত পরীক্ষার সময় কর্মীরা সেটির ল্যান্ডিং গিয়ারের ভেতরে দুটি মৃতদেহ দেখতে পান।
সি-১৭ উড়োজাহাজের চাকায় মানুষের দেহাবশেষ পাওয়ার ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা জানিয়েছে মার্কিন বিমানবাহিনী কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে ওই দুই ব্যক্তি উড়োজাহাজের চাকার খোপের ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়েছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি। কীভাবে এমন একটি কাণ্ড হলো, তা খুঁজে পেতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কাজ করছি এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
উড়োজাহাজটি সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসে এবং রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডায় অবতরণ করে।
স্থানীয় পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহ দুটির ময়নাতদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বড়দিনের আগের দিন রাতে হাওয়াইয়ে অবতরণ করা একটি উড়োজাহাজের চাকার খোপের ভেতর একজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওই উড়োজাহাজ ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের। কীভাবে ওই ব্যক্তি উড়োজাহাজের চাকার ভেতরে ঢুকেছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুর কারণ কী, সে বিষয়ে ইউনাইটেড এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দেয়নি।
উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারের খোপের ভেতরের জায়গাটি খুবই বিপজ্জনক। সেখানে লুকিয়ে কেউ উঠে পড়লে অতিরিক্ত ঠান্ডা ও অক্সিজেনের অভাবে তার মৃত্যু নিশ্চিত। এ ছাড়া উড়োজাহাজ উড়াল দেওয়ার পর যখন সেটির চাকা খোপের ভেতর ঢোকানো হয়, সে সময়ও চাকার চাপে পিষ্ট হয়ে সেখানে থাকা ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।