রংপুর প্রতিনিধি: যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীর উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার শালবন মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের মো. আজিজার রহমানের পুত্র মো. রবিউল ইসলাম রানার সহিত একই মহল্লার মো. আতাউল গনির মেয়ে মোছা. আশা মনির প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সংসার স্বাভাবিকভাবে চললেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আশা নির্যাতনের শিকার হতে থাকেন।
আশা মনি রবিউল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ায় প্রথম স্ত্রী হাসি আশা মনিকে রবিউলের সংসারে মেনে নিতে নারাজ। হাসি রবিউল ও তার মা রনজিনা বেগমকে পরামর্শ দিয়ে রবিউলের ছোট ভাই মো. রিপন মিয়াসহ আশা মনির নিকট যৌতুকের দাবিতে দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
রবিউল ইসলাম ও তার পরিবার আশা মনির কাছে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করলে সে দিতে অস্বীকার জানালে তার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালায় তারা।
আশা মনি তার লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী ১০ লাখ টাকা দিতে না পারায় তিনি তার চাকরির সমুদয় টাকা স্বামী রবিউল ইসলামের হাতে তুলে দেন। ধারণা ছিল এ টাকা পেলে তার স্বামী তাকে নিয়ে শান্তিতে সংসার করবে। কিন্তু রবিউলের চাহিদা কিছুতেই মিটছিল না। তার দাবিকৃত টাকা না পেলে সংসার না করার হুঁশিয়ারি দেন আশা মনিকে। সাংসারিক এমন কলহের সমাধান করার জন্য আশা মনি ও তার পরিবার একাধিকবার স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করলেও রবিউল ইসলাম রানা তাহার যৌতুকের টাকার দাবিতে অনঢ় অটল। আশা মনি তার সংসার জীবনে ফিরতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগ করেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।