র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী: রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতিটি সড়কে যানজটের কারণে চরমে উঠেছে অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ। যাত্রীবাহী বাসগুলো সড়কের মধ্যে থেমেই যাত্রী ওঠা-নামা করা, দূরপাল্লার গাড়িগুলো মহানগরের সড়কে পার্কিং করে রাখা, উন্নয়ন কর্মকান্ডের নামে সমন্বয়হীনভাবে যত্রতত্র রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, ট্রাফিক সিস্টেম ও সড়ক অব্যবস্থাপনার কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। গুলশান-২ থেকে জাতীয় সংসদে পৌঁছাতে স্বাভাবিক অবস্থায় সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট কিন্তু এই দশ মিনিটের রাস্তাটি অতিক্রম করতে আজ সময় লাগলো প্রায় এক ঘণ্টা! এটি সমগ্র ঢাকার-ই চিত্র। আর এতে করে শুধু যে জনভোগান্তিই বাড়ছেে এমন নয়; একইসঙ্গে শ্রম ঘন্টাসহ বিপুল পরিমাণের রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হচ্ছে।
রাজধানীজুড়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করে এতো এতো ফ্লাইওভার নির্মাণের পরেও সমন্বয়হীনভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অনুপস্থিতির কারণে যদি একটি স্পটে ৩০-৪৫ মিনিট, কোনো কোনো স্পটে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হয়, এরচেয়ে হতাশার আর কিছু হতে পারে না। এহেন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, সিটিকরপোরেশনসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দের কাছে আমাদের পরামর্শ— রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ ঘোচাতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধে আপনারা আরও সচেষ্ট হোন।
লেখক : সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা,
পঁচাত্তর-পরবর্তী প্রতিরোধ যোদ্ধা,
উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক যায়যায়কাল।