
শাহ্ সোহানুর রহমান, রাজশাহী ব্যুরো: আওয়ামী সন্ত্রাসী লীগের লিফলেট বিতরণ ও দেশ বিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা গেট থেকে রাজশাহী জেলা শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিলটি পুঠিয়া উপজেলা থেকে ঢাকা- রাজশাহী মহাসড়ক অতিক্রম করে পুঠিয়া থানার সামনে এসে শেষ হয়৷
সে সময় তারা জালো জালো আগুন জালো, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা, দিল্লি না রাজশাহী রাজশাহী রাজশাহী, পুঠিয়া পুঠিয়া, আওয়ামীলীগ প্রকাশ্যে কেনো? প্রশাসন জবাব চাই, আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, ছাত্রলীগের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, দিয়েছিতো রক্ত আরও দেবো রক্ত, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ শ্লোগান দিতে থাকে।
মিছিল ও সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাজু, যুগ্ম আহবায়ক মোখলেছুর রহমান বিজয়, যুগ্ম সদস্য সচিব আসিফ হাসান ও সাফিন আক্তার, ক্রিড়া সংগঠক রিকো মণ্ডল, সংগঠক এস এম মেহেদি হাসান, মুখপাত্র সদস্য মুশফিকুর রহমান মিম, ইমন রাজ ও সুস্মিতা, জেলা প্রতিনিধি ইয়াসিন আরাফাত প্রিন্সসহ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল সোমবার দিনগত রাতে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান ইউনূস সরকারের পদত্যাগ দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন। সেই ছবি আওয়ামীলীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আপলোড হলে পুঠিয়ার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই গ্রেফতারের জন্য থানাকে ২৪ ঘন্টার সময় বেধে দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন রাজশাহী শাখা৷ দৈনিক যায়যায়কাল পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহবায়ক মোখলেসুর রহমান বিজয়। পাশাপাশি মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষনা করেন তারা। বেধে দেয়া সময়ে মৌসুমিকে আটক করতে না পারলেও মঙ্গলবার সকালে মৌসুমি রহমানের স্বামী অহিদুর রহমানকে পঁচামাড়িয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুঠিয়া থানা পুলিশ৷
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, তারা স্বামী স্ত্রী মিলে নাশকতার চেষ্টা করছিল। ওহিদুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর তার স্ত্রী পালিয়ে গেছে।