
শাহ্ সোহানুর রহমান, রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর পুঠিয়ায় আগুন লেগে বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের চক্ ধাদাশ গ্রামে এ আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়িতে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে৷ আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনগণ। এদিকে সর্বস্ব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পুড়ে গেছে এসএসসি পরিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও৷
পরিবারের সদস্যরা জানান, পাটখড়ি আর বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিলো ঘরটি। উপরে রয়েছে টিন৷ সন্ধ্যার পর মশা নিধনের জন্য কয়েল জ্বালিয়ে দেয়া হয়। রাতে হঠাৎ আগুন লেগে সব শেষ বলে কেঁদে ওঠেন তারা৷ তবে গরুর গোয়ালঘরে জ্বালানো কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এই পরিবারের সদস্যরা।
চক্ ধাদাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম আলী বলেন, বাড়ি ঘর সব পুড়ে গেছে৷ আব্দুল নূর জয় আমার বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে। বসতবাড়ির সাথে তার অর্জিনাল প্রবেশপত্র ও ফটোকপি দুইটিই পুড়ে গেছে৷ আমি কেন্দ্র সচিবকে কল দিয়েছিলাম৷ পরিক্ষা দেয়ার সুযোগ দিয়েছে। তবে বোর্ড থেকে আবার প্রবেশপত্র তুলতে হবে।
তবে সোমবার ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, মৃত কবির সরকারের ছেলে শুকুর সরকারের তিনটি ঘর ও জিয়াউলের ঘর, গোয়ালঘর, পেঁয়াজ রসুন পুড়ে গেছে। যার আর্থিক পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২ লাখ টাকা। সেই সাথে উদ্ধার দেখানো হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা।
তবে পরিবার ও স্বজনদের দাবি, প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে তারা বলছেন, পেঁয়াজ ৪ লাখ টাকার, রসুন দুই লাখ ৪০ হাজার, ধনিয়া ২০ হাজার, ফ্রিজ ৬০ হাজার, গম ৩২ হাজার, পাট ৭৬ হাজার, কাপড় হিসাব নাই। সব মিলিয়ে ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্বর্ণ দেড় ভরি ছিলো, পুড়ে গেছে। সেই সাথে পুড়ে গেছে ৬০ হাজার নগদ টাকা।
পুঠিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাত ১১টা ২৮ মিনিটে আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের একটি ইউনিটের দুইটি গাড়ি সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজশাহী মহানগরীর ( আরএমপির) বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, আগুন লাগার ঘটনা জানার সাথে সাথে আমি সেখানে আমাদের থানার টহল পুলিশ পাঠাই। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ২০ এপ্রিল রাতে দেয়া ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।