পাভেল ইসলাম মিমুল, রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহী মোহনপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মোহনপুর উপজেলার রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে দুপুর একটা ও রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। এই ঘটনায় যাত্রীবাহী সিএনজি ও মালবাহী ইঞ্জিন চালিত ভটভটি চালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন,নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার দাসপাড়ার মমতাজুল ইসলাম মো. পলাশ (২১)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত। নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার উপর তালিমপুর গ্রামের মৃত তোতা হাজী আব্দুল কুদ্দুস (৪০)। তিনি পেশায় মসজিদের ইমাম। এছাড়া দুপুরের অপর দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালক আমিনুল ইসলাম (৪৭) নিহত হন।
স্থানীয়ারা ও পুলিশ জানায়,রাত নয়টার দিকে রাজশাহীর দিক থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি মোহনপুরের কেশরহাটের দিকে যাচ্ছিল।পথে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে একই দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ভটভটির সাথে ধাক্কা লাগে। তারা ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া দুপুর একটা দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের কেশরহাট বাঁশহাটা এলাকায় ব্যাটারিচালিত চার্জার ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আমিনুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামের কসিমুদ্দিনের ছেলে। আমিনুল পেশায় ভ্যান চালক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,আমিনুল ভাড়া নিতে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে কেশরহাট বাঁশহাটায় পৌঁছালে বিপরিত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল জোরে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক মোস্তাহিদ। মোস্তাহিদের বাড়ী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার সাবাইহাট এলাকায়।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান জানান, দুপুরে দুর্ঘটনায় ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়। আর রাত সাড়ে নায়টায় দুর্ঘটনায় এক সেনা সদস্যসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা সেনা সদস্যের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আসছে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় সিএনজি ও মালবাহী ইঞ্জিন চালিত ভটভটি চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের গাড়ি দুটি জব্দ করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে মামলা হবে। এছাড়া আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।