শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহীর আদালতে প্রতারণা মামলায় অধ্যক্ষ কারাগারে

আবুল হাশেম, রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাঘা উপজেলার বাউসা ভোকেশনাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম কে প্রতারণা মামলায় আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো আটক করা হয়। এর আগে চলতি বছরের ২৩ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে ৮দিন কারাবাস শেষে বাদির সাথে সমন্বয়ের শর্তে জামিন মঞ্জুর করে আদালত। জামিনের এ শর্ত ভঙ্গের কারণে পুনরায় তাকে আবারও আটক করা হয়। আটককৃত অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বাউসা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত অয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়,উপজেলার বাউসা ভেড়ালী পাড়া গ্রামের আবু তালেব প্রামানিকের ছেলে রবিউল হাসান কে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ প্রতারণা করেন এ অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় রবিউল হাসান বাদী হয়ে ৬ জনকে সাক্ষী করে রাজশাহীর বাঘা থানার আমলী আদালতে ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চাকুরী প্রত্যাশী শিক্ষিত বেকার যুবক রবিউল ইসলাম কে
কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট পদে চাকুরী দেওয়ার নামে অর্থ দাবি করে। রবিউলের কাছ থেকে দুই কিস্তিতে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয় অধ্যক্ষ রেজাউল করিম। প্রথমে ১৯/০২/২০১৫ ইং তারিখে নেয় ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এর পর নিয়োগ ও যোগদান পত্র না দিয়ে চাকরি প্রার্থী রবিউল কে দিনের পর দিন ঘুরাতে থকে। পুনরায় নিয়োগ ও যোগদান পত্র দিবে বলে ২১/০৪/২০২০ ইং তারিখে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নেয় অধ্যক্ষ। চাকুরী পাওয়ার আশায় রবিউল সর্বমোট ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন অধ্যক্ষ রেজাউল করিম কে।

এদিকে চাকুরী প্রার্থীর আশা পরিনত হয় নিরাশায়। অধ্যক্ষ চাকরি না দিয়ে এ টাকা আত্মসাৎ করেন। চাকরি না পায়ে একবুক হতাশা নিয়ে টাকা চাইতে গেলে রেজাউল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে রবিউল বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে কোন ফল না পেয়ে তিনি চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী ৬ জন কে সাক্ষী করে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে রাজশাহীর বাঘা থানা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায়
বাদির সাথে আপোষ না করায় আদালত তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।

এ বিষয়ে রবিউল হাসান বলেন, বেকার জীবন বড় কষ্টের। তাই চাকরি পাওয়ার আশায় অধ্যক্ষ রেজাউল করিমের হাতে তুলে দিয়েছিলাম কষ্টার্জিত টাকা। কিন্তুু তিনি আমাকে চাকরি না দিয়ে উল্টো প্রাণ সংশয়ের হুমকি দিয়েছেন। আদালতের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। সঠিক ও ন্যায় বিচার পাবো বলে আমি আশাবাদী।

মুঠোফোনে বাদি পক্ষের আইনজীবী জানান, অধ্যক্ষ রেজাউল করিম ২৩ মার্চ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে ৮ দিন কারাবাস শেষে বাদির সাথে সমন্বয়ের শর্তে জামিন মঞ্জুর করে আদালত। জামিনের এ শর্ত ভঙ্গের কারণে পুনরায় তাকে আবারও আটক করা হয়। আগামীতে আদালতে এ মামলার সাক্ষী শুনানি হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ