পাভেল ইসলাম মিমুল, রাজশাহী ব্যুরো: দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘণ্টা পর পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আনারুল হক প্রাং।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে কলেজের উপাধ্যক্ষের কাছে দেন তিনি। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনে প্রবেশ করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ।
জানা গেছে, বেলা পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ক্যাম্পাসে আসেন। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পাস ছাড়েন।
এসময় নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ কক্ষে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলে দলে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে একত্রিত হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ছাড়েন প্রফেসর ড. আনারুল হক প্রাং।
রাজশাহী কলেজের সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেকের পদত্যাগের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করা হয় প্রফেসর ড. আনারুল হক প্রাংকে। এরপর থেকে রাজশাহী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরোধিতা করে অধ্যক্ষের যোগদান ঠেকাতে আন্দোলন করতে থাকেন।
নবনিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বোর্ডের ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালে তিনটি মামলা করে দুদক। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে আসে। আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা বোর্ডের ফান্ডে জমা দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এতকিছুর পরও শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান হওয়ার তদবিরে উঠে পড়ে নামেন এই বিতর্কিত শিক্ষক। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে আসে। রাজশাহী বোর্ড চেয়ারম্যানের স্বপ্নপূরণ না হলেও তৎকালীন মেয়র লিটনের সুপারিশে পেয়েছেন বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ার। তাকে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ পদায়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন আনারুল হক প্রাং।
আন্দোলনের সমন্বয়কারী মহুয়া জান্নাত মৌ বলেন, রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ্য অধ্যক্ষ চায়। খুনি শেখ হাসিনার কোনও দোসরকে আমাদের পবিত্র ক্যাম্পাসে জায়গা দেওয়া হবে না। এ কারণেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে।