যায়যায় কাল প্রতিবেদক : কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের স্লোগান নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন ২৪ নাগরিক।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিল থেকে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ ও ‘আমরা সবাই রাজাকার’ শ্লোগান শুনে আমরা খুবই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাঙালি জাতিসত্তার লালন, জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসার এবং উদার সংস্কৃতি চর্চার তীর্থভূমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী রাজাকারদের প্রতিনিধিত্ব দাবি করে এমন শ্লোগান উচ্চারিত হওয়ায় আমরা যারপরনাই ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি।’
‘আমরা মনে করি, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার আদর্শকে পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে বহন করবার অধিকার কারো নেই। আমরা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আশা করি, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দাবি আদায়ের পথে পরিচালিত হবে।’
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতরাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা (কোটা) পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে আন্দোলনকারীরা, চাইতে গেলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার, তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, লাখো শহীদের রক্তে কেনা দেশটা কারও বাপের নয়, কে রাজাকার কে রাজাকার তুই রাজাকার তুই রাজাকার, স্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আজ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিবৃতিদাতারা হলেন, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, ফেরদৌসী মজুমদার, সুজেয় শ্যাম, ডা. সারওয়ার আলী, আবেদ খান, কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী বীর প্রতীক, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক শফি আহমেদ, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, ম. হামিদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গোলাম কুদ্দুছ, শ্যামল দত্ত, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, লাকী ইনাম, সারা জাকের, শিমুল ইউসুফ, আহকাম উল্লাহ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ।