রবিবার, ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজেরুং ত্রিপুরা ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি (বান্দরবান): যশোরের কেশবপুরে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের রাজেরুং ত্রিপুরা এক আদিবাসী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার, সারাদেশে অব্যাহত নারীদের নিপীড়ন ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বান্দরবানের থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে উপজেলা সাঙ্গু ব্রিজ ত্রিমুখী রাস্তা প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা সচেতন সমাজের আয়োজনে ‘আদিবাসী নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত কর’ ব্যানারে যশোর জেলার কেশবপুর পৌর শহরের খ্রিস্টান আউট রিচ গার্লস হোস্টেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজেরুংকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, রমজান ছুটিতে বাড়িতে না পাঠিয়ে নিহত রাজেরুং ত্রিপুরাসহ কয়েকজন ছাত্রীদের হোস্টেলের রেখে তাদের উপর যৌন হয়রানি চালাতেন বলে অভিযোগ রয়েছেন হোষ্টেলে চেয়ারম্যান ও ম্যানেজার বিরুদ্ধে। খ্রিষ্টিয়ান আউট রিচ গার্লস হোস্টেলে চেয়ারম্যান ক্রিস্টফার সরকার ও ম্যানেজার প্রদীপ সরকার বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজেরুংকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত রাজেরুং ত্রিপুরা বান্দরবানের থানচি উপজেলার ১নং রেমাক্রী ইউনিয়নের কালু পাড়ার রমেশ ত্রিপুরার মেয়ে। পরিবারের পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন বড়।

এই ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি সমাবেশের বক্তব্য রাখছেন, ডাক্তার এন্দ্রিজয় ত্রিপুরা, শিক্ষার্থী এনি ত্রিপুরা, মারমা স্টুডেন্ট প্রতিনিধি ক্যহাইসিং মারমা, হেডম্যান শিমন ত্রিপুরা ও থানচি কলেজ প্রভাষক লিটন ত্রিপুরা, মুক্ত ত্রিপুরাসহ অনেকেই। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামের লোকজন, সচেতনমহল, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ এই কর্মসূচির সমাবেশের উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি সমাবেশের বক্তারা বলেছেন, কিছু ব্যক্তির অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এটি, বরং কোনো খ্রিস্টান মিশন নয়, সেখানেই গরিব ও অসহায় পরিবারের মেয়েদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়। ২০০৯ সালেও এ প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু অপরাধীরা ধরা পড়েনি। সেখানে একের পর এক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটছে, কিন্তু অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বোন রাজেরুং ত্রিপুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে চেয়েছিল, কিন্তু তাকে ফিরতে হলো লাশ হয়ে।আমাদের আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিহত রাজেরুং ত্রিপুরার হত্যার বিচার এবং এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে- সরকার। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, তা না হলে কঠোর থেকে কঠোরভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারি দেন সচেতনমহল।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *