
পাভেল ইসলাম মিমুল, উত্তরবঙ্গ: শিক্ষার্থী সায়মা হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ এনে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুটি টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন।
গত ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসেনের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আশ্বাস দেয়।
তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও সেই প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আজ তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৬ তারিখ প্রশাসনের অবহেলার কারণে আমাদের বোন সায়মা হোসেন মারা যান। আমরা সেদিন রাতেই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন তিন দিনের সময় চেয়েছিল, কিন্তু এখনো কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। আমরা আশঙ্কা করছি, তারা গড়িমসি করছে। যদি এ বিষয়ে বিলম্ব হয়, রাবির শিক্ষার্থীরা ছেড়ে কথা বলবে না।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাকসুর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাকসুর নবনির্বাচিত জিএস সালাউদ্দিন আম্মার সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, রাকসুর অবস্থান পরিষ্কার। তদন্ত প্রতিবেদন তিন দিনের মধ্যেই জমা দেওয়ার কথা ছিল। এখন দুপুর ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? রাকসু প্রশাসনের ওপর প্রেশার দিচ্ছে। দুপুরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, তদন্ত কর্মকর্তা ও রাকসুর বডির সঙ্গে বৈঠক হবে।
বর্তমানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সিনেট ভবনে আলোচনায় বসেছেন।
 
				











