মঙ্গলবার, ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রায়গঞ্জের পত্রিকা বিক্রেতা শহিদুল ইসলামের বাঁচার আকুতি

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: portrait;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 8;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;HdrStatus: auto;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 38;
বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মানবেতর জীবনযাপন করছেন কিডনি রোগে আক্রান্ত পত্রিকা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম। অর্থের অভাবে করতে পারছেন না  চিকিৎসা। সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে।
পত্রিকা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি করে জিবীকা নির্বাহ করে আসছেন। পত্রিকার বিক্রির আয়ে স্ত্রী ও এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার চলে।
অসুস্থ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. আলমিস বেগম বলেন,  কিডনি রোগ ধরা পড়ার পর দফায় দফায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ ওষুধ কিনতে গিয়ে তিন লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়ে গেছে।
টাকার অভাবে বাড়ীতেই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছেন। সপ্তাহে একদিন ঔষধপত্রসহ ডায়ালাইসিস বাবাদ ৫-৭ হাজার টাকার প্রয়োজন হচ্ছে।
অসুস্থ শহিদুল ইসলামের আরেক সহকর্মী পত্রিকা বিক্রেতা ছামিদুল ইসলাম বলেন,  একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসার চালানো ও তার চিকিৎসার খরচ মেটানো দায় হয়ে পড়েছে। সহায় সম্বল বলতে যা ছিল, বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসা খরচ জুগিয়েছেন। অনেক ধারদেনাও হয়েছে। দেনাও পড়েছে পত্রিকা এজেন্ট এর কাছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে তার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। এরই মধ্যে একটি কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে, আর একটি কিডনি প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক। কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে পত্রিকা বিক্রি করতে পারেন না তিনি। বাড়ীতেই শুয়ে বসে দিন কাটছে তার। অর্থাভাবে চিকিৎসাও করতে পারছেননা। সামান্য অর্থ জোগার হলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের দুই-একটি ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল কিনে খাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসকরা তাকে ডায়ালাইসিস করতে বলেছেন। কিন্তু ডায়ালাইসিস করতে অনেক টাকা লাগবে। ডায়ালাইসিস করার জন্য কোনো টাকা না থাকায় তার পক্ষে কোনো কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাড়ীতে বসে নিজের চিকিৎসা এবং স্ত্রী ও ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় দিন কাটছে তার। তিনি বাঁচতে চান। বাঁচার জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। পত্রিকা হকার এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে  তার চিকিৎসার জন্য সরকারসহ দেশের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হাসান শেখ বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিশেষ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে পত্রিকা বিক্রেতা শহিদুল ইসলামের চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি তার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে। আর সঠিক কাগজপত্র দিয়ে আবদেন করলে যাচাই-বাছাই করে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *