
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের পাঙ্গাসি ইউনিয়নের চিতাস গাতি গ্রামে অব্যাহতভাবে চলছে তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার কাজ। পাঙ্গাসি ভূমি অফিস থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে এই অবৈধ মাটি কাটার কার্যক্রম চললেও প্রশাসনের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মমিন বলেন, “এভাবে মাটি কাটতে থাকলে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জমির মাটি সরিয়ে নেওয়ায় আশপাশের জমিও ধসে পড়ছে।”
প্রায় এক মাস ধরে দিনরাত এই মাটি কাটার কাজ চললেও পাঙ্গাসি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি কিছু বলতে পারব না। আমার সাক্ষাৎকার নিতে হলে ঊর্ধ্বতন অফিসারের অনুমতি লাগবে।”
স্থানীয় কৃষক আবদুল কাদের জানান, “জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদনও কমে যাবে। প্রশাসন চুপ করে থাকায় এসব কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে।”
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমাদের অফিসারের সাক্ষাৎকার নিতে হলে কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি প্রয়োজন।”
স্থানীয় এক নারী বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের বাড়ির পাশ থেকে মাটি কাটায় ভীতিতে থাকতে হচ্ছে। ঘরের পাশে ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু কেউ দেখার নেই!”
প্রশাসনের নিরব ভূমিকা ও নজরদারির অভাবে দিন দিন বাড়ছে তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার প্রবণতা। এতে পরিবেশ ও কৃষি উভয়ই মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহল দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, “এইভাবে চলতে থাকলে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হবে।”
স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই অবৈধ মাটি কাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।