
স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে স্ত্রীকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
গত চার মাস আগে মৃত সিরাজ আলীর পুত্র মো. মানিক চাঁন সবুজ (২৯), মৃত মোঃ শুকর আলীর কন্যা কনা আক্তার সুমি(১৩)কে গোপনে বিয়ে করেন। চার মাস সংসার করার পর মেয়েটি মৃত্যুবরণ করেন। তবে এ মৃত্যু অসাভাবিক বলে দাবি করেন করেন মেয়ের পরিবার।
পরিকল্পিত হত্যার ঘটনার বিষয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামায় সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী গ্রামের মৃত ইকবাল হোসেন এর কন্যা মোছাঃ রেখা খাতুন (৫০) বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বিয়ের পর থেকে কনা আক্তার সুমিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তার স্বামী।
গত ১৮ জুলাই বিকেল আনুমানিক ৩ টা ১৫ মিনিটে উপরোক্ত বিবাদীগনসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে কনা আক্তার সুমিকে হত্যা করে টিনের ঘরের ধর্নার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এলাকার স্থানীয় মাতব্বর প্রধানদের হত্যার ঘটনা জানানো হলে পরিবারের লোকজন ও আত্নীয়-স্বজনের সাথে আলোচনা করে এবং বিবাদীদের আপস মীমাংসার মিথ্যা আশ্বাস দেয়।
তবে পাঙ্গাসি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খোকন মেম্বার বীবাদির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপস মীমাংসার কথা বলে এবং থানা পুলিশও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাদের পক্ষের করে দিবে বলে মোটা অংকের টাকা নেয়।
নিহতের চাচা নবীদুল ইসলাম বলেন, ‘অই দিন আমি খবর পেলাম যে মেয়েটা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসে দেখি মেয়েকে উঠানে শুয়ে রেখেছে। পানি এবং কাদা মাখানো রয়েছে। গলায় দাগ, চোখ ফুলানো, মুখে মুখে তরল পানি এসেছে। তবে আমার মনে হয় না যে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
এ মামলা বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার ওসিকে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি কথার বিপক্ষে কথা বলে ফোন কেটে দেন।