
খন্দকার শাহ নেওয়াজ, রায়পুরা : নরসিংদীর রায়পুরায় নির্মিত গ্রামীণ সড়কের ইট তুলে ঘর নির্মাণ ও প্রবেশ পথে বেড়া দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইলিয়াস আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এক শ পরিবারের লোকজন।
ওই সড়কটি উন্মুক্ত করে সংস্কারের জন্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে অবগত করেন মরজাল ইউপি সদস্য মো. আলতাব।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (বিআরডিবি-৩) স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ অংশীদারিত্বে উপজেলার মরজার ইউনিয়নে মরজালের বটিয়ারা এলাকার নবী হোসেনের দোকান হইতে হারুন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ১০০ মিটার (হেরিং বোন বন্ড) সড়ক এক লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ তিনবার সড়কটিতে ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় মাটি ভরাট করে। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত চলাচল কারি রাস্তাটি স্থানীয় ইলিয়াস আলীসহ তিন ব্যক্তির জমির ওপর দিয়ে সড়কটি নির্মিত হয়েছে। এদিকে সড়কের কাজ শেষ হওয়ার এক সাপ্তাহ পর হঠাৎ লোকজন নিয়ে ৩০ মিটার অংশের ইট তুলে ফেলে দেন ইলিয়াস আলী ও তার লোকজন। পরে সড়কে ওপর চারা রোপন, ঘর-স্যানেটারী ল্যাটিন নির্মাণসহ সড়কের দুটি প্রবেশ পথে বেড়া দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেন তিনি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে শত পরিবার।
বাসিন্দা কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তাটা দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত লোকজন চলাচল করে আসছে। সরকারি ভাবে তিন বার মাটি ফেলা হয়েছে। রাস্তাটি করার সময়ও বাঁধা দেন নি। রাস্তা হওয়ায় পর অসৎ উদ্যেশে রাস্তা উঠিয়ে কাটাদিয়ে দুই পাশে বেড়া ও ঘর নির্মাণ করেছে। স্থানীয়রা এর প্রতিকার চাই।’
রেজিয়া খাতুন, সুরাইয়া, জাকির হোসেন জানান, আড়াই দশক ধরে এই সড়ক দিয়ে এলাকাবাসী চলাচল করে আসছিলেন। সম্প্রতি ইউপি মেম্বার আলতাব ইটের রাস্তাটি নির্মাণ করেন। হঠাৎ রাতের আঁধারে ইট তুলে ফেলে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন ইলিয়াস। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শতাধিক পরিবারের লোকজনসহ শিক্ষার্থীরা। রাস্তা উদ্ধার করে আবারও চালুর দাবি জানান তারা।
ইলিয়াস আলী ভাতিজা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রাস্তা নির্মাণের সময় চাচা উপস্তিত ছিলেন। ওই সময় তিনি কোন প্রকার আপত্তি জানাননি। এখন রাস্তার ইট তুলে বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে আমরা পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছি।
রাস্তার ইট তুলে ফেলার কথা শিকার করে ইলিয়াস আলী জানান, তার সাথে আলোচনা না করেই জমির দুই পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেন মেম্বার। একা আমার জমি দিয়ে রাস্তা দিবো না। পাশাপাশি দুটি জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হলে আপত্তি নেই।
মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলতাব বলেন, মাটি ভরাটসহ হেরিং বোন বন্ড রাস্তা নির্মাণের এক সাপ্তাহ পর লোকজন নিয়ে ইট তুলে বেড়া দিয়েছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। পরে বিষয়টি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে জানাই। বিষয়টি সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। রাস্তাটি উদ্ধার করে সংস্কারসহ জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ রাস্তাটি পূনরায় স্থাপন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, কাজটি আমার তত্ত্বাবধানে নয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে থাকায় আমার কিছুই করার নেই। তবে শুনছি উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সকলকে একসাথে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করবে।